আকাশ সরকার,রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুলাভাই কর্তৃক ধর্ষণের শিকার ইভা খাতুনের (১২) আত্মহত্যার দু’মাস পেরিয়ে গেলেও আসামিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বিচারের দাবি নিয়ে অবশেষে রাস্তায় নেমেছেন তার হতভাগ্য পিতা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে ইভা খাতুনের পিতা ভ্যানচালক সেলিম হোসেনকে বিচারের আশায় মেয়ের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভ্যান চালক বাবা সেলিম হোসেন বলেন, আমার মেয়েটি পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবি ছাত্রী ছিল। তার মারা যাওয়ার প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গেছে। লোকমূখে শুনছি আসামী মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে তার এলাকাতে ঘুরছে। কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি ভ্যানচালক গরীব মানুষ তাই হয়তো মেয়ের ওপর নির্যাতন ও তার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের সঠিক বিচার পাবো না। তাই নিজেই বিচারের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, মামলার তদারকিতে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি নেই। আসামিদের আটক করতে আমরা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছি। আর ওই পরিবারকেও বলা হয়েছে আসামীদের কোনো সন্ধান পেলে আমাদের জানাতে। উল্লেখ্য, এপ্রিলের শুরুতে ইভা খাতুন তার বড় বোন সদ্য বিবাহিতা উপজেলার হলহোলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও তার দুলাভাই এখলাস আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সে সুযোগে লম্পট দুলাভাই জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে ৯ এপ্রিল দুপুরে রামজীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরে লোকলজ্জায় ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে৷ আত্তহত্যা করে। এ ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক দুলাভাই তার পিতা ও মাতাকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।