আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর পবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমদাদুল হকের নামে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে, মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল পবা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।আজ ২৫ এপ্রিল আসামীগন,পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে গায়ে বাতাস লাগয়ে ঘুরছে,কি কারনে আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা, আমাদের বোধগম্য নয়।এদিকে মানলা তদন্ত করমোকর্তাকে ফোন করলে তিনি বলেন করোনা মোকাবেলায় সময় পাচ্ছি না,আসামিরা বাইরে থাকায় সাংবাদিক সারোয়ার জাহান বিপ্লব নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। গত ৬ এপ্রিল এমদাদ ও তার লোকজন দলবদ্ধ হয়ে পথরোধ করে হত্যা চেষ্টা,, মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনতায় করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন পবা উপজেলার বিয়ের গোয়ালিয়া গ্রামের সাংবাদিক সারোয়ার জাহাঙ্গীর বিপ্লব। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞ্যাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুঃখের বিষয় এই যে আসামি রা প্রকাশ্যে দিবালকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকার দলীয় লোক বলে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ সাংবাদিক সারোয়ার জাহান বিপ্লব এর। মামলার অভিযোগ কারী সাংবাদিক সারোয়ার জাহান বিপ্লব বলেন, গত মাসে রাজশাহী পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের মাথায় পাড়া গ্রামে (জেএল নম্বর ১১৮) জমিতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ তিন ফসলি জমি নষ্ট করে জমির মালিকদের অনুমতি ছাড়া জোরপূর্বক পুকুর কাটা শুরু করেন এমন অভিযোগ স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোঃ শাহাদৎ হোসেনকে জানালে যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এমন অবস্থায় গত ৬ এপ্রিল রাত্রি ৯টার সময় পুকুর লিজের ৫০,০০০/ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নওহাটা মোহনগঞ্জ সুখিপাড়া গ্রামের জার্মানির দিঘি নামক ফাঁকা রাস্তার ওপড়ে পবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমদাদুল হকের নেতৃত্বে সাগর,টিয়া,রয়েল সহ ৩/৪জন লোকজন দলবদ্ধ হয়ে আমার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করেন। এ সময় যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ আমার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়। এ সময় তার লোক জনদের বলেন ওর কাছে যা আছে সব কেড়ে নিয়ে মেরে ফেল যা হবে আমি দেখবো। এ কথা বলতেই সাগর তার পকেটে থাকা চাকু আমার গলায় ধরে আমার পকেটে থাকা পুকুর লিজের ৫০,০০০/ পঞ্চাশ হাজার টাকা,একটি অপ্প-৮৩মডেলের একটি ফোন জোর পূর্বক বের করে নিয়ে আমাকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকে । আমার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আসলে তারা আমাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে পবা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি বলে বলেন তিনি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পবা থানার ওসি শেখ গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলে।আমরা সাংবাদিক মহল আসামীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানায়।