বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ফরিদপুরে স্বাধীনতা চিকিৎসকদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে দুপুরের খাবার খেতে আসার পথে সড়কে প্রাণ গেল মাদরাসা ছাত্রের পাঁচবিবিতে আন্তর্জাতিক মহান শ্রমিক দিবস পালিত পথচারী ও তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে ঠাণ্ডা শরবত বিতরণ পূবাইলে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ৩ ডাকাত গ্রেফতার রাজারহাটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত কুড়িগ্রামে তীব্র তাপদাহে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দিনমজুরের মৃত্যু পূবাইলে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত অবশেষে আটক হলো কালীগঞ্জের ৯ মামলার আসামী সেলিম মেম্বারসহ ৬ মামলার আসামী অর্ণব মহান মে দিবসে শ্রমিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে যুবলীগের নেতা সবুজ মহান মে দিবসে শ্রমিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে তাঁতীলীগের নেতা সাঈদ মহান মে দিবসে শ্রমিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে তাঁতীলীগের নেতা সজিব সীতাকুণ্ডে অনুমোদন না নিয়ে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে সবান তৈরী করায় জরিমানাসহ আটক ১ দাকোপের বাজুয়া চুনকুড়ি দাস পাড়ায় পরকিয়ার জের ধরে মানসম্নান এড়াতে গৃহবধুর অকাল মৃত্যু রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ’কে সুরক্ষিত রাখতে সাংবাদিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ নির্মাণ কাজেলাল বালি হয়ে গেল সাদা বালি – দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৫২৪ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:৫৯ অপরাহ্ণ

খায়রুল আলম রফিক: দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতি ক্রয়, কেনাকাটা, হিসাবে গড়মিল, বিল্ডিং নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের পুকুরচুরি হয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে । গত ২৩ আগস্ট থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে । ১ জানুয়ারি ২০২০ সরেজমিনে জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ নির্মাণ কাজে দুর্নীতি- অনিয়ম লক্ষ্য করা হচ্ছে ।

সেখানে মেডিকেল কলেজের বিল্ডিং নির্মাণ কাজে লাল বালির স্থলে সাদা বালি ব্যবহার করতে দেখা গেছে । সূত্র জানিয়েছে, জামালপুরস্থ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থাপনা নির্মাণে ৪৫৬ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দেয় সরকার । তমা কনস্ট্রকশন লিমিটেড, ঢাকা নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একাজের বরাদ্দ পায় । সরেজমিনে নির্মাণ কাজের স্থলে তমা কনস্ট্রকশন লিমিটেডের কোন ঠিকাদার বা প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি।

যারা কাজ সম্পাদন করছেন তারা স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে। এই নেতৃবৃন্দ নিজেদের আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক চৌধুরী , বাবুল কমিশনার , জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান , শাহরিয়ার উজ্জল বলে দাবি করেন । তারা একতলা ভবন থেকে শুরু করে ৬য়তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ করছেন । ইতিপূর্বে এবং এখনও যেসব ভবন নির্মাণ হচ্ছে তা তারা এবং তাদের দলীয় লোকজন করেছেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা ।

অভিযোগ রয়েছেপ্রকৌশলী কাওসার কবীর, উপ সহকারী প্রকৌশলী আলী হোসেন, মোবারক হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা নির্মাণকাজ সঠিকভাবে তদারকি না করে এবং মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কাজ সম্পাদন করে যাচ্ছেন । ইতিমধ্যে এই মেডিকেল কলেজ নির্মাণ কাজের ৬০ ভাগ সম্পাদন হয়েছে । এই কাজে ১৫ কোটি টাকারও অধিক দুর্নীতি অনিয়ম হয়েছে ।

বালির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাণ কাজে রত শ্রমিকরা জানান, বালি আসছে জামালপুরের লাউচাপড়া ঘাটসহ আশপাশ এলাকার ঘাট থেকে । এসব ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বালিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বুয়েটের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা শেষে অনুমোদনের কথা থাকলেও বাস্তবে তা পরিলক্ষিত হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্মাণ কাজে যেসব মালামাল ব্যবহার করা হচ্ছে তা খুবই নিন্মমানের । এভাবে চলতে থাকলে ৫০ ভাগ কাজও সঠিকভাবে হবে না।

এব্যাপারে জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কাওসার কবির জানান, বুয়েট টেস্টের পরই এসব বালি আমরা ব্যবহার করছি । কোয়লিটি সম্পন্ন বালু ও সিমেন্ট দিচ্ছি । কোন অনিয়মে আমি জড়িত নই । আপনার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমা রয়েছে জানতে চাইলে বলেন, ভূল ত্রুটি আছে । ভুলের বাইরে মানুষ নেই । এখানে চাকুরি করতে আর ভাল লাগছে না ।

নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন জানান, সিলেট থেকে বালি আনতে অনেক খরচ লেগে যায় । ওইসব বালির চাইতে স্থানীয় বালি খারাপ না । আমরা এগুলি বুয়েট টেস্টের মাধ্যমেই দিচ্ছি । আপনি কতদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানতে চাইলে বলেন, ব্যস্ততার কারনে নিয়মিত যেতে পাইনা । তবে, মাসে ২/১ দিন যাই ।

বালির দেখভাল কে করেন জানতে চাইলে বলেন, একাজ স্টাফরা করেন । এদিকে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুইজন কেরানীসহ পৃথক দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক । এই কলেজের জন্য কেনাকাটা ও ভুয়া যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে লুট করা হয় । সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে সাজানো টেন্ডারে শতভাগ সরকারি অর্থ লোপাটের প্রমাণ মিলেছে দুদকের অনুসন্ধানে। ১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার কার্যাদেশের মধ্যে ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকাই লোপাট করা হয়েছে।

অপরদিকে দীর্ঘ সময় ধরে গড়ে ওঠা হাসপাতালগুলোদে গড়ে ওঠা দুর্নীতি চক্র ভাঙতেও মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সরকারি বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার করে গরিবের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে দুদক। দুদকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে বিশেষ অনুসন্ধান টিম। তাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে হাসপাতালের কেনাকাটায় লাগামহীন দুর্নীতির কারণেই স্বাস্থ্যসেবায় চরম দুরবস্থা বিরাজ করছে। এ কারণে টিমের সদস্যরা কেনাকাটার হিসাব-নিকাশে হাত দিয়েছেন।

কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী এই টিম সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের কেনাকাটার হিসাব খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে ১৩টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ২জন সিভিলসার্জনের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কেনাকাটার নথি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক । মানুষের চিকিৎসার জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ দেয় আর সেই টাকা নানা কৌশলে আত্মসাৎ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে হাসপাতালের সরঞ্জামাদি কেনাকাটায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য বেড়িয়ে্এসেছে । পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থ বরাদ্দের আগেই টেন্ডার আহ্বান, মালামাল সরবরাহের আগেই ঠিকাদারের টাকা পরিশোধ, নির্দেশনা অনুযায়ী মালামাল না দেওয়া, ভুয়া ভাউচারে অর্থ আত্মসাৎ, বাজারমূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক বেশি দামে মালামাল কেনা। কেনাকাটায় জাল-জালিয়াতি করা হয়েছে ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, বগুড়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এবং সিলেট, বগুড়া ও গাইবান্ধা সিভিল সার্জন। দুদক জানায়, ক্রমান্বয়ে অপরাপর হাসপাতালগুলিতেও কেনাকাটার হিসাব অনুসন্ধান করা হবে। তন্মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল, জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, সুনামগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল, ঢাকার শ্যামলীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল, ঢাকার মুগদার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল।

মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সৈয়দপুরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অ্যাজমা সেন্টার, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পিরোজপুর সদর হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার স্যার সলিমুলল্গাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতাল, নড়াইল ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতাল।

লক্ষ্মীপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল, নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল, নাটোর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতাল, মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল, ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকার মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম), মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল, শরীয়তপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, লালমনিরহাট ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল।

হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, যশোর মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুরের ম্যাটস, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, সাতক্ষীরার আইএইচটি, সাতক্ষীরার ম্যাটস, টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী আইএইচটি, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা কমিশনের কার্যক্রমকে উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। এখন যেভাবে আমরা কাজ করছি তা থেকে ভিন্নতর কিছু করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্তকাজে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। দুর্নীতি হচ্ছে দেশের উন্নয়নের অন্তরায়। এই দুর্নীতির আগাছা দূর করতে উচ্চপর্যায় থেকে অভিযান পরিচালনাসহ নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কমিশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মকভাবে দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদসহ ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানি লন্ডারিংয়ের অনুসন্ধান-তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে। এটি আরও জোরদার হবে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!