মোঃ মিজানুর রহমান (ডোফুরা), স্টাফ রিপোর্টার।।
১২ জুলাই, ১৯ শুক্রবার পঞ্চগড় জেলা আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর গ্রামে (নিজ গ্রাম) বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ইয়াকুব আলী’র ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিকভাবে কবর জিয়ারত, দো’য়া ও মিলাদ মাহ্ফিলের আয়োজন করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ইয়াকুব আলী ১৯৫২ সালের ৩১ জুলাই (জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী) পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মৃত আব্দুল হামিদ, মাতা-মৃত আলিমা খাতুন। তাঁরা চার ভাই, এক বোন।
তিনি পরিবারসহ ৩৫ বছর ধরে দিনাজপুরে বসবাস করেন। এবং বর্তমানে উনার পরিবার (স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) দিনাজপুর শহরে বসবাস করছেন।
তিনি বোদা হাই স্কুল থেকে ১৯৬৯ সালে এস. এস. সি পরীক্ষায় বিজ্ঞান গ্রুপে প্রথম বিভাগে, ঠাকুরগাঁও কলেজ থেকে ১৯৭১ সালে এইচ. এস. সি পরীক্ষায় বিজ্ঞান গ্রুপে প্রথম বিভাগে এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-ময়মনসিংহ থেকে ১৯৭৬ সালে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন এগ্রিকালচার (অনার্স) ডিগ্রী পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি অবসরপ্রাপ্ত জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ৬ নং সেক্টরের কমান্ডার অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আরো জানা যায়, অত্র এলাকায় একই পরিবারে তিন ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা। বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালীয়ার রহমান, মেজ ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ মরহুম ইয়াকুব আলী, সেজো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ রফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ইয়াকুব আলী (৬৬ বছর-জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী)’র লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয় ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ইয়াকুব আলী ১২ জুলাই, ২০১৮ বৃহস্পতিবার ভোর রাত প্রায় সাড়ে ৩ টার সময় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আই সি ইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্রেইন স্টোকে ইন্তেকাল করেন।
ঐদিন (১২ জুলাই, বৃহস্পতিবার) বাদ আছর রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদর্শন পূর্বক নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্হানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়। রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
আটোয়ারী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে গার্ড অফ অনার পরিচালনা করেন এস আই আবু রায়হান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।