ফরহাদ হোসেন জনি,নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক বাংলার অধিকারঃ মুন্সীগঞ্জের
ঐতিহ্যবাহী একটি জনপদের নাম
ভাগ্যকুল। শ্রীনগর উপজেলার ৮ নং
ইউনিয়ন ভাগ্যকুল। নদীঘাট, দুগ্ধ উৎপাদন,মিষ্টির জন্য প্রসিদ্ধ হলেও ছিলো না তেমন টেকসই উন্নয়ন। দায়িত্ববান ব্যক্তিরাও উন্নয়ন বিষয়ে ছিলেন উদাসীন। ভাগ্যকুল কে এগিয়ে নিতে সর্বস্তরের জনগনকে সাথে নিয়ে
কাজে নামেন সমাজ উন্নয়নকর্মী মনির
হোসেন মিটুল। ভাগ্যকুল জনকল্যাণ ভবন তৈরি, ভাগ্যকুল বাজার ইয়াং
মার্কেট সংলগ্ন ড্রেনেজ তৈরি, নদী
ভাঙন থেকে বাজার কে রক্ষা করতে
বার বার সরকারি বরাদ্দ ছিল চোখে
পড়ার মতো। জেলা পরিষদ সদস্য মনির হোসেন মিটুল ইউনিয়নে ব্যাপক
আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল বসানোর
ব্যবস্থা করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক
ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন। ভাগ্যকুল স্কুল মাঠ বর্ধিত করণের মাধ্যমে খেলাধুলার চমৎকার পরিবেশ তৈরিতে তার অবদান রয়েছে।প্রতিনিধিদের নিকট যেখানে নির্যাতিতদের বিচার পাওয়া ছিল দুরূহ সেখানে মনির হোসেন মিটুল ন্যায় ও স্বচ্ছ বিচারের জন্য প্রশংসনীয়। মান্দ্রা জামে মসজিদ মাঠে ছাউনি তৈরি ও মান্দ্রা কবরস্থানের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ সহ এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কার করেন
তিনি। ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির
দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে স্কুলে করেছেন ব্যাপক উন্নয়ন। ভবনসহ কলেজ
শাখা চালু, ভবনসহ প্রাথমিক শাখা
চালু, কলেজ মার্কেট তৈরি, ব্যাংক
ভবন তৈরি, অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ
করেন। এছাড়া, জেলা পরিষদের অর্থায়নে মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে পরিমিত দক্ষ শিক্ষকের ব্যবস্থাকরণ সহ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ওমননশীলতা অনুশীলনের ক্ষেত্রে নেয়া হয়েছে পরিকল্পনা। এরই ধারাবাহিকতায় স্কুলটি ২০১৭ সালের
এইচএসসি ফলাফলে উপজেলায় প্রথম ও২০১৮ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অধ্যক্ষ মোঃ মুজিবুর রহমান তালুকদার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানের মর্যাদা লাভ করেন। স্কুলটিতে
তিনতলা একটি পাঠদান ভবন ও একটি
ছাত্রাবাসা নির্মাণের পরিকল্পনা
রয়েছে। সচেতন মহলের দাবির
পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার
পাশাপাশি কারিগরি ট্রেড কোর্স
চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান
স্কুল কমিটির সভাপতি মনির হোসেন
মিটুল।এলাকার উন্নয়নে একজন নিবেদিতকর্মী মনির হোসেন মিটুল, এমনই অভিমত এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের