গাজী মোঃ হানিফ : সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি :
সোনাগাজীতে স্ত্রী নাফিসা আক্তার সাদিয়া (ধর্মান্তরিত, পূর্বের নাম- স্মৃতি দেবনাথ) কে ফিরে পেতে অসহায় স্বামী জামশেদ আলম গত ২২ই জুন সোনাগাজীতে দৈনিক ভোরের কাগজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জামশেদ আলম জানান- সে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় তার সহপাঠিনী ফেনী জেলার দাগণভুঁঞার অবিরামপুর নিবাসী চটুলাল নাথের কন্যা স্মৃতি দেবনাথের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । এক পর্যায়ে দুজন পালিয়ে গিয়ে নোয়াখালীর মাইজদী আদালতের এডভোকেট শাহীনের কাছে গিয়ে সেচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি জানান- স্মৃতি দেবনাথ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় এফিডেফিটের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম রীতিতে আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
স্মৃতি দেবনাথের পরিবার তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত দাগনভূঁঞা (ফেনী) মামলা দায়ের করিলে, ভিকটিম স্মৃতি দেবনাথ তার জবানবন্দিতে যাহা বলেন তার সারসংক্ষেপ- আমি প্রাপ্ত বয়স্ক, আমি সেচ্ছায় সজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে অন্যের পরোচনা ব্যতিত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি ও সোনাগাজীর চর ছান্দিয়া গ্রামের জামশেদ আলমের সাথে গত ০৫/০৫/২০১৯ ইং রবিবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
বিজ্ঞ আদালত সবকিছু বিবেচনায় ভিক্টিম স্মৃতি দেবনাথকে তার নিজ জিম্মায় মুক্তি দেন।
জামশেদ আলম জানান- নিজ জিম্মায় মুক্তি দেওয়ার পর তার পরিবার জোর করে তাকে বাড়ী নিয়ে যায়, বাড়ীতে নিয়ে গৃহবন্দী করে মারধর ও নির্যাতন করছে। সে যেন আমাকে ভুলে যায় এবং ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে। আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আদালতে মামলা দায়ের করি।
জামশেদ বলেন- আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে মাননীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করি।