মোমিন বিশ্বাস, স্মরণ ও অনন্যাকে নিয়ে প্রখ্যাত স্থপতি, নাট্যকার ও লেখক শাকুর মজিদের নতুন প্রজেক্ট রিভার্স লিপ সিং। এই তিন শিল্পী গেয়েছেন খন্দকার ফারুক আহমেদ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আব্দুল জব্বার, খুরশিদ আলম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, শাহনাজ রহমতুল্লাহ, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, শাম্মী আক্তার ও আগুনের গাওয়া কালজয়ী সব গান। সেই সাথে উঠে এসেছে গানের স্রষ্টা, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও চলচ্চিত্রের ইতিহাস। পর্দায় সোনালী যুগের গান প্রদর্শন, তার সাথে সরাসরি শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া এবং মিউজিয়ানদের ঐ সময়ের মিউজিকের হুবহু সংগত দেয়া এ এক কঠিন কাজ। দিনের পর দিন গবেষণার মাধ্যমে সেটাই সম্ভব করেছেন শাকুর মজিদ। যা সংগীতাঙ্গনে অন্যরকম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সোনালী সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় এক ডজন গান নিয়ে তার এ আয়োজন ইতোমধ্যেই দারুণ প্রশংসিত হয়েছে বুয়েটের তিতুমীর হলের প্রথম রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে। সকলে বলছেন ব্যতিক্রমী এ আয়োজন এর আগে আর কখনোই দেখা যায়নি। পরিকল্পক শাকুর মজিদও বললেন, আমিও এর আগে এ রকম কাজ আর কখনোই করিনি।
কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস বলেন, ক্ষুদ্র জীবনে শত শত মঞ্চে অনুষ্ঠান করেছি কিন্তু শাকুর মজিদ ভাই আমাদের দিয়ে যা করালেন তা সত্যিই আজীবন মনে থাকবে! মুল গানের ভিজ্যুয়ালে যেভাবে নায়ক নায়িকা লিপ মিলিয়েছেন সেভাবেই ভিডিওর সাথে সরাসরি হুবহু গাইতে হবে এবং প্রতিটি গানের অরিজিনাল মিউজিক বাজাতে হবে- বিষয়টি শুনে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কারণ বিষয়টি যতটা জটিল, তারচেয়েও বেশি চ্যালেঞ্জিং। কোন একটা মিটার বা মাত্রা কিংবা অল্প দু এক সেকেন্ডের ভুল ভ্রান্তি সবকিছুই ভণ্ডুল করে দিতে পারে! এর আগে কখনো এমন আয়োজন হয়েছে বলে আমার জানা নেই!
অনন্যা আচার্য্য বলেন, স্ক্রিনের সাথে মিলিয়ে লেন্থ ঠিক রেখে গানের সাথে সঙ্গত,শিল্পীদের স্ক্রিন দেখে লিপ মেলানো, বিট ঠিক রেখে সরাসরি ভিডিওর সাথে তাল মিলিয়ে পারফর্ম করা-এ এক কঠিন কাজ। বিষয়টি নিয়ে আমি এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। সংগীতপ্রিয় মানুষের কাছে শাকুর ভাইয়ের এ আয়োজনটি সব মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
স্মরণ বলেন, আমার জীবনের কোন প্রোগ্রামই এ অনুষ্ঠানের মত বিশেষ ছিল না। এটি ছিল সত্যিই বিস্ময়কর এবং বিরল কিছু, যা আগে ঘটেনি। বাদ্যযন্ত্রীরা জাদুকরের মতো খেলেছে; তাদের ছাড়া, এই আয়োজন কখনোই সফল হতো না।