ভোলার চরফ্যাশনে স্ত্রী সন্তানের হাতে মারপিটের স্বীকার প্রবাসী জাফর উল্যাহ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার ওমরপুর ৫ নং ওয়ার্ড জাফর ডুবাইর বাড়িতে তার নিজ বসত ঘরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে এবং তার মাথায় আঘাত করেলে তাকে উদ্ধার করতে গেলে তার বর্তমান স্ত্রী সুরমাকেও মারধর করে তার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী মমতাজ বেগম,মেয়ে রায়হান বেগম,নার্গিস বেগম,জামাই রিপন ও জিয়ারুল ইসলাম টিটু।
পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রবাসী জাফর উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, তিনি দীর্ঘ ২২ বছর সৌদি আরবে ঠিকাদারি কাজ করে প্রবাস জীবন যাপন করেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মমতাজ বেগমের সাথে তার তেমন একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না। তার চার মেয়ে এক ছেলে। মেয়েদেরকে বিবাহ দেয় আনুষ্ঠানিক ভাবে ধুমধামে।
স্ত্রী ও জামাতাদের কাছে তিনি বিদেশ থেকে টাকা পাঠান পরে তিনি সে টাকার কোনো হিসাব না পাওয়ায় সংসাবে ঝামেলা চলতে থাকে। এর মধ্যে গত এক বছর আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন।
এবং ছোট স্ত্রী কেও একই সংসারে রেখে তিনি আবার বিদেশ যান।এরমধ্যে সংসারে অনেক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরে তিনি একবারে গত কয়েক মাস আগে বিদেশ থেকে দেশে চলে আসেন কিন্তু বড় স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতাদের কারনে তিনি তার নিজ বাড়িতে আসতে পারেনি।
এমতাবস্থায় তিনি রেজিস্ট্রার মূলে তার বড় স্ত্রী মমতাজকে তালাক প্রদান করেন।
পরে তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী মমতাজ জাফর উল্যার নামে মামলা করলে চরফ্যাশন থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তিনি সে মামলায় প্রায় ১৮ দিন জেল খেটে সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধায় বাড়িতে আসলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এরা পরিকল্পিত ভাবে এ মারপিটের ঘটনা ঘটায়।
জাফর উল্যাহ আরও অভিযোগ করে বলেন , তার ঘরের সকল আসবাবপত্র স্বর্ণালংকার সহ তার সংসারের লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যার তার সাবেক স্ত্রী, মেয়ে জামাতারা।
অপরদিকে অভিযুক্ত মমতাজ বেগম জানান, আমি জাফর উল্যার সাথে প্রায় ৪০ বছর সংসার করেছি।এখন আমাকে এ বয়সে তালাক দিয়েছে আমি এখন কোথায় যাব। তিনি মার পিটের ঘটনা স্বীকার করে জানান, তাকে মারার কারনে জাফরকে মারপিট করেন।