জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষক দ্বারা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের রায়গ্রাম বাজার আল-হেরা কওমী মাদ্রাসায়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,অত্র মাদ্রাসায় মোট ছাত্র প্রায় ৬৫ জন। আবাসিকে থাকেন প্রায় ২০ জন ছাত্র। এদের পড়াশোনার জন্য মাত্র একজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি।
অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার টুলট বড়গাঁও গ্রামের মোঃ আজাহার আলীর পুত্র মোঃ মোক্তার হোসেন।তিনি বেশ কিছুদিন যাবত এতিম বাচ্চাদের নিয়মিত বলাৎকার করে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।প্রতিদিনের ন্যায় বাচ্চারা ঘুমিয়ে গেলে এই লম্পট শিক্ষক মুক্তার হোসেন শিশু বাচ্চাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং বলাৎকার করেন। বাচ্চারা যেন অভিভাবকের নিকট বলতে না পারেন এজন্য বাচ্চাদের চাকু দিয়ে ভয় দেখানো হয়।
ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার এতিম বাচ্চাটাকে ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনার জন্য দিয়েছি।
মাদ্রাসার লম্পট শিক্ষক আমার বাচ্চাকে চাকু দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই বলাৎকার করে। আমি ঐ লম্পট
শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রটির মা প্রথমে বলাৎকারের শিকার তার ছেলেকে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। ভুক্তভোগীর পরিবার সাংবাদিকদের আরো বলেন,গত মঙ্গলবার সকালে ঘটনা জানার পর আমি কমিটির লোকজনকে জানিয়েছি। তারা সারাদিনেও এর বিচার করতে চেয়ে বিচার করেনি । উপরন্তু ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য গতকাল মঙ্গলবার থেকে তাড়াহুড়া করে মাদ্রাসাটি ১০ দিনের বন্ধ ঘোষণা করেন।আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এবং প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করে বলি,ঐ লম্পট শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। এদিকে সাংবাদিকদের কাছে অত্র প্রতিষ্ঠানের ঐ শিক্ষক ঘটনার বিবরণ দিয়ে দোষ স্বীকার করেন। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতি এবং শাইলট্টি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের প্রিন্সিপাল এ এস এম জাকারিয়া আকন্দ জানান,দোষী এই শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমি বিষয়টি শুনেছি ব্যস্ততার কারণে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি।এ ব্যাপারে পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক জানান, এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ এখনো পাইনি।পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।