ভোলার লালমোহনে শত্রুতার জেরে হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে পোড়া মবিল দিয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে মোঃ আলামিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লালমোহন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড অহিদুর রহমান হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আলামিনের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অহিদুর রহমান হাওলাদার।
আলামিন একই এলাকার মোঃ শাহাবুদ্দিনের ছেলে ও অহিদুর রহমান হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সোয়া দুইটার দিকে আলামিন ও তার মা মাহমুদা খাতুনের ঝগড়াঝাটিতে ঘুম ভাঙে অহিদুর রহমান হাওলাদারের। পরে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন তাদের হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে আগুন জ্বলছে আর তা নেভানোর চেষ্টা করছেন মাহমুদা।
এসময় জিজ্ঞেস করলে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করে আলামিন।
অহিদুর রহমান হাওলাদার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও আমাদের কে ফাঁসাতে পরদিন শুক্রবার দুপুরে নিজের ঘরের কাপড়চোপড়ে আগুন ধরিয়ে আলামিনসহ তার লোকজন। স্থানীয়রা এসে আগুন না নেভালে হয়তো আলানিনের ঘরের সাথে আমার ঘরও পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। তাই আলানিনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলামিনের স্ত্রী শারমিন বলেন, হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়টি অহিদুর রহমান হাওলাদারের স্ত্রীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তার স্বামী আলামিন ওই খোয়ারে পোড়া মবিল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। একইসাথে নিজেদের ঘরের কাপড়চোপড়ে আগুন লাগানোর ঘটনাটি স্বামী আলামিন ও শাশুড়ি মাহমুদা ঘটিয়েছে বলেও দাবি শারমিনের।
হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে ও নিজের ঘরের কাপড়চোপড়ে আগুন লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে আলামিন বলেন, আমার হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে আমিই আগুন লাগিয়েছি। আর স্ত্রীর সাথে ঝগড়াঝাটি হওয়ায় ঘরের কাপড়চোপড়ে স্ত্রী শারনিন আগুন লাগিয়েছে বলে দাবি তার।
লালমোহন থানার এ এস আই মোঃ আল আমিন বলেন, আল আমিনের হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে সে নিজেই লাগিয়েছে। এ ঘটনায় যাতে অহিদুর রহমান কে ফাঁসাতে না পারে, তাই আগে থেকেই তিনি অভিযোগ করেছেন।