ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
সাভারে বিয়ের ব্যাপারে ছেলের বিরুদ্ধে মেয়ে পক্ষকে ভাঞ্জি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সন্দেহভাজন প্রতিবেশীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই নারীসহ আহত পাঁচজনকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত ১০ টায় সাভার পৌরসভার কাঞ্চনপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে এক নারীসহ তিন জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আহতরা হলেন, সাভার পৌরসভার কাঞ্চনপুর এলাকার মৃত আব্দুল জলিল মোল্লার ছেলে আব্দুল গফুর মোল্লা (৬৫), একই এলাকার মৃত মালু মোল্লার ছেলে আফাজ মোল্লা (৪৮), একই এলাকার মৃত হীরা মিয়ার মেয়ে সাগরি আক্তার (৩০), একই এলাকার মৃত মো. জলিল মোল্লার ছেলে সালাম মোল্লা(৫০) ও
জলেখা বেগম(৩৫)।
এ ঘটনায় আহত সাগরি আক্তারের মা লায়লা বেগম এবং আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে মো. আনিছ মোল্লা বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সাভার পৌরসভার কাঞ্চনপুর পোড়াবাড়ি এলাকার মো. মেজর উদ্দিনের ছেলে মো. সুজন ওরফে হিটলার (২৬), আদুল কাদের ব্যাপারির ছেলে জাহিদ(২৫), আব্দুল করিমের ছেলে ইসরাফিল (২৮), মেজর উদ্দিনের ছেলে মো. হোসেন (১৮), হোসেন ব্যাপারির ছেলে মেজর উদ্দিন(৪৫), হাসেন ব্যাপারির ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০) ও মেজর উদ্দিনের স্ত্রী জোছনা বেগম (৩০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সাব্বির আহমেদ।
জানা গেছে, সাভার পৌরসভার কাঞ্চনপুর পোড়াবাড়ি এলাকার মো. মেজর উদ্দিনের ছেলে মো. সুজন ওরফে হিটলারের সাথে পৌরসভার জামসিং এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের কথা চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সুজনের খোঁজ খবর নিতে আসেন তরুণীর পরিবারের অভিভাবকরা। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলার পর সুজনের প্রতিবেশী কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা ও ওই তরুণীর আত্মীয় আব্দুল গফুর মোল্লার বাসায় গিয়ে সুজনের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয় তারা। ছেলের ত্রুটি পাওয়ায় বিয়ে ভেঙ্গে দেয় মেয়ে পক্ষ । এই ক্ষোভে বৃহস্পতিবার রাতে ভাঞ্জি দেওয়া সন্দেহে আব্দুল গফুর মোল্লার ওপর হামলা চালায় সুজন ও তার লোকজন। গফুর মোল্লাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুজনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি তবে অপর অভিযুক্ত ইসরাফিল জানান, গফুর মোল্লা ভাঞ্জি দেওয়ায় তার সাথে সুজনের ঝামেলা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, পরে গিয়েছি।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা (এস আই) সাব্বির আহমেদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।