ভোলার লালমোহনে জমিজমার বিরোধের জের ধরে ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে লালমোহন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলবাগিছা বাজার এলাকায় এঘটনা ঘটে।
জানাযায়, উপজেলার লালমোহন সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আলতাফ হাওলাদার বাড়ীর শহীদুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে রনি হাওলাদার (৫০) এর সাথে পার্শ্ববর্তী জসিম উদ্দিন বাচ্চু গংদের সাথে ৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি জসিম গংরা ভোগ করছে বলে জানাযায়। তার পাশের জমিটুকু রনি হাওলাদারের ওই জমিতে তার পানের বরজ রয়েছে।ঘটনার দিন সকালে আঃ আলী ও আঃ রব তার পানের বরজের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে তখন বাধা দিতেবগেলে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে তারা রনিকে মারধর করে। এঘটনায় রনি লালমোহন থানায় অভিযোগ করে বাড়ীতে যায়।রনি থানায় অভিযোগ করায়, জসিম গংরা আরো ক্ষিপ্ত হয়।পরে রনি আছরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় বাড়ীর দরজার মধ্যে ওৎপেতে থাকে জসিম উদ্দিন বাচ্ছু,সুমেজ,শামিম,আঃআলী,আঃরব।রনিকে লোহার রড দিয়ে বেধরক মারধর করে তার মাথা পাটিয়ে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত করে।
রনির ডাক চিৎকার দিলে তাকে রক্ষা করার জন্য স্ত্রী লাইজু বেগম ও মা জাহানারা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করে। এতে রনির বৃদ্ধ মায়ের মাথায় পাটিয়ে দেয়। এবং তার স্ত্রীকে বেধম ভাবে পিটিয়ে তার শরীরে ব্যাপক লিলা ফুলা ও জখম করে।এবং বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।এদের মধ্যে রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রেপার করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানায়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সুমেজের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে আমার বড় ভাই শামীমকে মারছে তারপর আমরা মারছি।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন,এবিষয়টি আমার জানা নেই তবে যেনে ব্যবস্থা নিবো।