ভোলার লালমোহনে সংবাদ প্রচারের জের ধরে চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও অন্যান্য আইনে ইউপি চেয়ারম্যানের মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম (ডিবিএসএফ)। একইসঙ্গে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল, ২০২৩) ডিবিএসএফ সভাপতি আহসান কামরুল ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ ধরনের মামলা সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ওপর ভয়াবহ হুমকি ও বাধা স্বরূপ। স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং অনতিবিলম্বে এ মামলা থেকে সাংবাদিক এসবি মিলন, আমজাদ হোসেন, এনামুল হক রিংকু এবং সালাম সেন্টুকে অব্যাহতি দিতে হবে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোন সংবাদে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান প্রেস কাউন্সিলে প্রতিকার পেতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি, যা গণমাধ্যমের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে।
উল্লেখ্য, লালমোহনের ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম এবং ইউপি মেম্বারদের হাতে তার মার খাওয়ার সংবাদ প্রকাশ করায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং অন্যান্য আইনে মামলা দায়ের করেন ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ।