ভোলার লালমোহনে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিপনি বিতানগুলোতে। শুধু পৌরসভার দোকানগুলো নয় বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলোতেও জমে উঠেছে ঈদ বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিপনি বিতানগুলোতে চলছে কেনাকাটা।
পৌরসভার হাইস্কুল মার্কেটের রাফি ফ্যাশনের মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, কেনাকাটা ভালোই। তবে পোশাকের দাম এবছর একটু বেশি। হাদিস বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টস এর মালিক মো. হাদিস বলেন, মহিলা ও বাচ্ছাদের পোষাক বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। এবছর বেশি চাহিদা সারারা-গারারা থ্রিপিচ, নায়রা কাট ড্রেস, আনারকলি, টুপিস কামিজ-সেলোয়ার, গাউন ও শাড়ী।
পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে সরেজমিনে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। উপজেলার মঙ্গলসিকদার, গজারিয়া, ফুলবাগিচা, কর্তারহাটসহ বিভিন্ন বাজারের গার্মেন্টসগুলোতে দেখা গেছে তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের মধ্যে চলছে পছন্দের পোষাক বাছাই এবং দরদাম করা।
হাফছা , মায়া , মমতা, মহাব্বতসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, পোশাকের দাম আগের তুলানায় অনেক বেশি। কোন পোশাক একটু পছন্দ হলেই দোকানদারেরা দাম চাচ্ছেন আকাশ ছোঁয়া। করার কিছুই নেই। ঈদ উপলক্ষে বাচ্ছাদের পোশাক কিনতে হবে। তাই বেশি দাম হলেও দরদাম করে ক্রয় করছি পছন্দের পোশাক।
লর্ডহাডিঞ্জ থেকে পৌরসভা হাইস্কুল মার্কেটে আসা মো. সোহাগ জানান, নিজের পরিবার এবং আত্নীয়স্বজনের জন্য শপিং করতে এসেছি। শেষ দিকে অনেক ভীড় হবে এজন্য ঈদ উপলক্ষে একটু আগেভাগে পরিবার নিয়ে শপিং করতে আসছি। তবে পোশাকের দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আমরা পুলিশের পেট্রোলিং টিমের মাধ্যমে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছি। এছাড়া কারও কোনো সমস্যা হলে থানায় যোগাযোগ করলে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করবো। অন্যদিকে, ঈদকে ঘিরে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা নিয়মিত চেকপোষ্ট অভিযান পরিচালনা করছি।