গাজীপুরে পুলিশের নির্যাতনে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় বাসন থানার দুই উপপরিদর্শকে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই দুজনকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ।
ওই দুই এসআই হলেন মাহবুব হোসেন ও নুরুল ইসলাম। গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবু তোরাব শামসুর রহমান প্রথম বলেন, ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, সেটি এখনো নিশ্চিত না হওয়া গেলেও ওই ব্যবসায়ীকে ধরে আনার সঙ্গে এসআই নুরুল ইসলাম ও মাহবুব হোসেনের জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। যার কারণে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়ছে। এ ছাড়া তাঁদের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম রবিউল ইসলাম (৪০)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর ভোগরা বাইপাস পেয়ারাবাগান এলাকার বাসিন্দা। তিনি সুতার ব্যবসায়ী ছিলেন। স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, মুঠোফোনে বিটকয়েন দিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে গত শনিবার রাতে চারজনকে আটক করে বাসন থানার পুলিশ। পরের দিন তিনজনকে ছেড়ে দিলেও ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামকে থানায় আটকে রাখে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাসন থানার এসআই নুরুল ইসলাম ও মাহবুবসহ একদল পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নিয়ে আসে। পরে রাতে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, রবিউল মারা গেছেন।
নির্যাতনে রবিউল ইসলামের মৃত্যুর অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী আজ বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া ভোগড়া বাইপাস মোড়ে বাসন থানার পুলিশ বক্স ও পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উত্তেজিত এলাকাবাসী ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে দুপুর ১২টা থেকে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।