নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারনে চাষীদের ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার কারনে প্রায় দু’মাস ধরে কাঁচা বাজারে শাক-সবজির দাম ছিলো চরম উর্দ্ধমূখী। দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়েছে কাঁচা বাজার করতে আসা স্বল্প আয়ের মানুষসহ সর্ব সাধারনের। তবে হেমন্তের শুরুতেই শীতের বিভিন্ন শাক সবজি বাজারে আসা শুরু করলেও অনেক বেশি দামেই কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। বর্তমানে ২/৩ দিন ধরে কিছুটা দাম কমতে শুরু করেছে সবজি’র বাজারে। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে উপজেলা শহরের কাঁচা বাজারে খুচরা বিক্রেতা জসিয়ার রহমানের কাছে বাজারের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্তমানে ফুলকপি প্রতি কেজি ৩৫টাকা, মুলা ৭/৮টাকা, বেগুন ১৮টাকা, বাধাঁ কপি ৩০টাকা, আলু ৪০টাকা, করলা ১৫টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০টাকা, ধুনিয়াপাতা ৮টাকা, পিয়াজ ৬০টাকা, মাঝারি আকারের লাউ ১০টাকা রয়েছে। কাঁচা বাজার করতে আসা পৌর এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক বানেশ্বর রায় জানান, দু’মাস ধরে কাঁচা বাজার করতে আসা মানুষের নাভীশ্বাস উঠলেও বর্তমান আবহাওয়া কিছুটা অনুকুলে থাকায় কমতে শুরু করেছে শীতের শাক-সবজির দাম। তিনি আরো জানান বেশিরভাগ শাক-সবজির দাম কমলেও কিছুতেই ঝাঁজ কমছে না কাঁচা মরিচের। একই অভিমত প্রকাশ করেন কাঁচা বাজার করতে আসা কয়েকজন ক্রেতা। অনেক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন যায়গায় আলুর দাম কম থাকলেও আমাদের এই বাজারে আলুর দাম অনেকটা চড়া থাকায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।