চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ অপরাহেৃ “দক্ষিণ আইচা চার্চ অব বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পত্তি দখল করেছেন বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট” শিরোনামে আমাদের
দৃষ্টিগোচর হয়।
সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং প্রতিবেদককে ভূল
তথ্য প্রদান করা হয়।
যেহেতু কলোনীতে বসবাসরত পরিবারগুলো সায়েদ ফরাজীর প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সে জন্য রেজুলেশন করে বসবাসরত লোকজন ২০১৮সালে সিরাজুল ইসলামকে
সভাপতির দায়িত্ব দেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিসষদের চেয়ারম্যান,
উপজেলা চেয়ারম্যান একাধিকবার সাইদ ফরাজী ও টমাস শংকরকে কমিউনিটি স্বার্থ
বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সর্তক করেছেন। সংবাদের উল্লেখিত সায়েদ
ফরাজি ও টমাস শংকরের সাথে কলোনীর কোন সম্পর্ক নেই এবং তাদের অভিযোগ
ভিত্তিহীন। যেহেতু সাইদ ফরাজী বিভিন্ন সময় চাঁদা তুলেছেন এবং কলোনীর
লোকজন মামলা করেছেন সেহেতু তার কোন কাজে সন্তুষ্টির প্রশ্নই ওঠেনা। উপকুলীয় এলাকা ভোলার চরফ্যাশনে ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন হতদরিদ্র
পরিবারকে পুনর্বাসন চার্চ অফ বাংলাদেশ চর মানিক ইউনিয়নে চর কচ্ছপিয়া
গ্রামে ৫৪টি পরিবারকে বসবাস ও তাদেরকে আয়বর্ধক কর্মসংস্থান মূলক কার্যক্রম পরিচালনায় ও তাদের প্রশিক্ষনের জন্য উপকূলের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা
কোস্ট ট্রাস্টকে ৪ একর জমি হস্তান্তর করে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবৎ চার্চ
কলোনীতে বসবাসকারী ৫৪ পরিবার যৌথ ভাবে পুকুরে মাছ চাষ ও নিজ নিজ আঙ্গিনায় গাছপালা লাগিয়ে আয়বর্ধন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সুতরাং সায়েদ ফরাজির সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই বিষয়টি কোস্ট ট্রাস্ট ও চার্চ অব বাংলাদেশের।
সংবাদে উল্লেখ করা হয় বেসরকারি (এনজিও) কোস্ট ট্রাস্ট এর সাথে সন্মিলিত
হয়ে মো: সিরাজ দালাল, পিতা: মো: অহিদ বেপারি, ছিন্ন মূল পরিবারের উপর
জুলুম অত্যাচার করেন। তার পিতা মো: অহিদ বেপারি , কলোনীর নীতিমালা ভঙ্গ
করে স্বামী স্ত্রী অশ্লীল ভাষায় গাল মন্দ করেন হিন্দু ধর্মীয় লোকদের
বিভিন্ন ধমীয় কাজে বাঁধা সৃস্টি করেন।
কিন্তু কোস্ট ট্রাস্ট একটি মানবিক সংগঠন কলোনীতে সকল ধর্মের মানুষের
প্রতি শ্রদ্ধাশীল এক্ষেত্রে কলোনীর সকল মানুষ কোস্ট ট্রাস্টের প্রতি
আস্থাশীল। সে ক্ষেত্রে এরকম একটি অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও
উদ্দেশ্য প্রনোদিত। প্রত্রিকায় উল্লেখিত চার্চ অব বাংলাদেশের প্রধান কর্মকর্তা মি: টমাস যাহা মিথ্যা। এই সংস্থা প্রধান হলেন বিষব স্যামুয়েল সুনিল মানখিন সুতরাং তার বক্তব্য ভিত্তিহীন। কোস্ট ট্রাস্ট সকল সম্পদের খাজনা, মেরামত, কলোনীতে উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে সেখানে সাইদ ফরাজী ও টমাস শংকর বিশৃখংলার সৃস্টি করছেন। সুতরাং এই সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট।আমরা কোস্ট ট্রাস্ট পরিবার দীর্ঘদিন ধরে উপকুলীয় মানুয়ের আর্থ-সামাজিক
উন্নয়নে কাজ করে আসছি এবং কমিউনিটি, দেশ ও বিদেশে আমাদের সুনাম রয়েছে, আমাদের অবস্থান গরিব ও অসহায় মানুষের পক্ষে। যেহেতু বিষয়টি আদালতে
বিচারাধীন সেক্ষেত্রে এরুপ সংবাদ প্রকাশ উদ্দেশ্য প্রনোদিত।এরকম একটি সংবাদে প্রকাশিত হওয়া আমরা বিব্রত,অপমানিত এবং এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ-(ভোলা প্রতিনিধি হাসান লিটন): “দক্ষিণ আইচা চার্চ অব বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পত্তি দখল করেছেন বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট”
প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। উপযুক্ত প্রমাণ ও বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। একাধিক ডকুমেন্টস সংরক্ষিত রয়েছে।
এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন একাধিক দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় ও প্রকাশ করেছে।