সিদ্দিকুর রহমান নয়ন:
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অশ্লীল কথা বলার ঘটনায় পিতা জিজ্ঞেস করলে মা-বাবা দুইজনকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ। এতে দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এবিষয়ে আহত পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা হাজী বাড়ির মৃত আবদুর রশিদের পুত্র তাসলিমের স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে একই বাড়ির আমির হোসেনের পুত্র ইমান হোসেন (২৫) অশ্লীল কথা বলে। ঘটনাটি ওই ছাত্রী তার বাবা মাকে অবহিত করে। স্কুল ছাত্রীর পিতা বিষয়টি ইমান হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাসলিমকে মারধর করে।
ঘটনাটি গত ১৩ জুন শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঘটে। এবিষয়ে ১৮ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে আহত তাসলিমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে ৮ জন’কে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে অভিযোগের বাদী ফিরোজা বেগম বলেন, আমরা অসহায় ও গরীব মানুষ। তারা সব সময় আমার মেয়েকে অশ্লীল কথা বলে। তাদেরকে বহুবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা হয়নি। আমি আমার স্বামী ও নিজ পরিবারের সদস্যদের জীবন নিরাপত্তার জন্য আইনের আশ্রয় গ্রহন করেছি।
আহত তাসলিম বলেন, আমি আমার মেয়ের মুখ থেকে শুনে ইমান হোসেনকে জিজ্ঞেস করি। ঘটনার দিন দুপুর ১২টায় আমি পার্শ্ববর্তি উপজেলা হাজিগঞ্জে বিক্রি করার জন্য মাছ আনতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে একই বাড়ির আবদুল কাদেরের ছেলে আবদুল মতিন ও মহিনউদ্দীন, আবদুস সাত্তারের ছেলে মোঃ সুমন, মনু মিয়ার ছেলে আলী আকবর, আমির হোসেনের পুত্র ইমান হোসেন ও একরাম হোসেন, জুনাব আলীর পুত্র সোহেল হোসেন ও বিল্লাল হোসেনের পুত্র মোঃ খোকন মিয়াসহ আর কয়েক জন আমাকে বাড়ির পাশের বাগানে জোর করে নিয়ে বেদম প্রহার করে। তারা আমাকে কাঁচি দিয়ে কোপ আর ইট দিয়ে পিটিয়ে মুখ থেঁতলে দেয়। আমার মুখের তিনটি দাঁত পড়ে যায় এবং মুখের ভেতর ছয়টি সেলাই দিতে হয়। আমিসহ আমার পরিবারের সবাই জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমতাবস্থায় তিনি পুলিশ প্রসাশন এবং এলাকার সুশীল সমাজের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অভিযোগে প্রথম বিবাদী আবদুল মতিন বলেন, ঘটনার সময় আমি এবং আমার ভাই উপস্থিত ছিলোনা। বাদী শত্রুতামূলক আমাদের ওই অভিযোগে ঢুকিয়েছেন। ঘটনা কি ঘটেছিলো দেখিনি, লোকমুখে শুনেছি। যারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেয়েছেন তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এলাকাবাসী বলেন, এই বাড়ির সমস্যা দীর্ঘদিনের। তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে যারাই আসেন তারাই অপমানিত হন। তারা কাউকে মুল্যায়ন করেন না। যে কারনে তাদের সমস্যাও সমাধান হচ্ছে না বলে তারা জানান।