মোঃ মাসুদ রানা,কচুয়াঃ
করোনা ভাইরাসের কারণে ধান কাটতে না পারা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে । করোনা পরিস্থিতিতে ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় বর্তমানে যেন ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই কৃষকদের একমাত্র ভরসা। কৃষকের ধান কাটা, বাড়ি নেয়া ও মাড়াই সবই করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন মিজি, সাধারন সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন খান, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে বই-খাতা ঘরে রেখে, হাতে হাতে ধান কাটার কাচি নিয়ে শ্রমিক সঙ্কটে থাকা এলাকা গুলোতে ধান কেটে কৃষককে সহায়তার জন্য বৃহস্পতিবার দিনভর উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের জুগিচাপড় গ্রামের কৃষক হারুনুর রশিদ এর ৩৫ শতাংশ জমির পাকা বোরো ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন নেতাকর্মীরা।
বিতারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিয়া মো. সোহেল ও সাধারন সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ কাজ করেন। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেমন খুশি, তেমনি ধান কেটে দেয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরাও।
কৃষক হারুনুর রশিদ বলেন, ধান কাটার সময় সাধারণত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পারিশ্রমিকে শ্রমিক পাওয়া যেত। করোনা পরিস্থিতিতে ৫০০ টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আমাদের এই সংকটময় মুহূর্তে বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে তা মাড়াই করে দিচ্ছে।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতা নোমান মাহমুদ, রায়হান প্রধান, রিয়াদ ভূঁইয়া, হাবিব প্রধান বাহার, বাবু, সাকিব, পারভেজ, ইকবাল সহ আরো অনেকে অংশ গ্রহন করেন।
করোনা পরিস্থিতিতে অন্য কোন সমস্যাগ্রস্থ কৃষক পাকা ধান কাটতে অসুবিদা হলে বিতারা ২ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল, ০১৮১৩-০৫০০৯৬ ও সাধারন সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলামের ০১৮২২-৯২৯২৫৩ নাম্বারে যোগাযোগ অনুরোধ করেছে।