সিদ্দিকুর রহমান নয়ন:
একটি বসত ঘর তাদের জীবন বদলে দিতে পারে। একমাত্র ঝরাজ্বীর্ণ বসত ঘরটি প্রতিনিয়ত তাদের স্বপ্ন ভঙ্গের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের নায়নগর হাজী বাড়ির ইমান হোসাইনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস শিল্পী জানায়, দিনমজুর স্বামীর অস্বচ্ছল পরিবারে দুটি সন্তান নিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে। দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যাটিও প্রতিবন্ধী। স্বামীর স্বল্প উপার্জনে আহারের ব্যবস্থাতেই টানাটানি।
ঝরাজ্বীর্ণ ঘরে বসবাস করা অতি কষ্টকর। বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির পানি ঘরে ঝরঝর করে প্রবেশ করে। একমাত্র বসতের জন্য
দো-চালা ঘরটি পশ্চিম-উত্তর দিকে ভেঙ্গে পড়ছে।
বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছি। যে কোনো সময় ওই ঘর চাপা পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী হাবাগোবা প্রকৃতির মানুষ। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে বেকারত্ব সময় কাটালেও এখন পর্যন্ত সরকারী কোনো দান-অনুদান আমাদের দেওয়া হয়নি। অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন অতিবাহিত করছি। আমাদের কথা শোনার কেউ নেই, দেখার মতও কেউ নেই। তাই চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদসদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের একান্ত নজরদারিতা কামনা করেন তিনি।