ফরিদ মিয়া নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদ নরসুন্দা নদ খননের নামে খালে পরিণত করার অভিযোগ উঠায় বিস্মিত এলাকাবাসী। প্রকল্পটির বরাদ্দ ১৩ কোটি টাকা। নান্দাইল উপজেলা শেষ সীমানা রাজগাতী ইউনিয়নের কালীগঞ্জ থেকে নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার নদ খনন করা হবে। সরেজমিনে দেখা যায়, কালীগঞ্জ থেকে তারের ঘাট পর্যন্ত খনন কাজ শেষ হয়েছে এবং নদটিকে খালে পরিণত করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নদ থেকে মাটি উত্তোলন করে নদীতে পাশেই রেখে দেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে খননকৃত নদটি পুনরায় মাটি ভরাট হয়ে যাওয়ার আশংস্কা রয়েছে। নদের মাটি যেখানে ফেলা হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হয়ে মাটি কেটে আবার নদটি ভরাট হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। নদটির প্রশস্থতা কমে যাওয়ায় দুই পাশে দখলদারিত্ব বাড়ছে। প্রকল্পটি দেখার জন্য নান্দাইল উপজেলায় কোন কমিটি করা হয়নি, নেই কোন প্রকার প্রকল্পের সাইনবোর্ড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, স্থানে স্থানে খননকৃত নদ পরিণত হচ্ছে খালে। এব্যাপারে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অপু দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নদী খনন বর্তমান প্রকল্পটি জুন ২০২৬ পর্যন্ত চলবে। নদের নিচের অংশে ২০ মিটার প্রস্থ ও উপরের অংশে ৩৫ থেকে ৪০ মিটার করা হবে। তবে নদীর গভীরতা প্রায় ১ থেকে ৭ফুট করা হচ্ছে। বর্তমান উত্তেলিত মাঠি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে টেন্ডার আহবান করে অপসারন করা হতে পারে। এবিষয়ে এলাকাবাসীরা অভিযোগে জানান, নদটি খননের উত্তোলিত মাটি একটি চক্র রাতের আধারে গাড়ী যোগে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এছাড়াও দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত খনন কাজটি সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে দাবী এলাকাবাসীর। নরসুন্দা নদটি ঘিরে নান্দাইল বাজার, তারেরঘাট বাজার, কালিগঞ্জ বাজারের মত গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি বাজার রয়েছে। বিশেষ করে তারেরঘাট বাজারের পাথর ব্যবসায়ীরা বর্ষা মৌসুমে সুদূর সিলেট, সুনামগঞ্জ ও চাতক থেকে উক্ত নদ দিয়ে কোটি কোটি টাকার পাথর এনে তারেরঘাট বাজারে মজুদ করে দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে থাকেন।
তাই সারা বছর নদীতে পানি থাকলে নৌকা দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে করার সুযোগ হবে। নান্দাইলের মানবাধিকার কর্মী সহ সুধীমহলের লোকজন নদটির প্রশস্থতা বাড়িয়ে সম্পূর্ন নদটি ৭ফুট গভীরতায় খনন কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিভাগীয় প্রকৌশলী সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।