শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কচুয়ার নূরুল আমিন চাঁদপুর জেলার  শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত দাকোপে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যান ফ্রন্ট খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে শারদীয়া দুর্গ পুজো উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা মিরসরাইয়ে ইসলামী পাঠাগারের উদ্বোধন ও কর্মী সম্মেলন নান্দাইলে মামুনুল হকের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বকশীগঞ্জের মুনীরা বেগম জামালপুর জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত বিএনপি হলো ভালো মানুষের দল: খোরশেদ আলম কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় বিএনপি ২৫০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে রুমিন ফারহানা পাঁচবিবিতে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনায় পাথরের আঘাত খেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত মিরসরাইয়ে ৭নং কাটাছরা ইউনিয়ন বিএনপির আলোচনা ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে মাদক বিক্রি ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা চিকিৎসা সহায়তার মানবিক আবেদন মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে পাঁচবিবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

পাঁচবিবিতে নারীদের ধর্মীয় শিক্ষার আলোকবর্তিতা খাতুনে জান্নাত কওমী মাদ্রাসা

সাখাওয়াত হোসেন, পাঁচবিবি প্রতিনিধি / ১৩১ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ

 

কঠোর ধর্মীয় অনুশাসন ও ইসলামি শরীয়তের পর্দার বিধান মেনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া খাতুনে জান্নাত (রাঃ) কওমি বালিকা মাদ্রাসাটি নারী শিক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেছেন। শুরুতে নাম মাত্র তিন জন শিক্ষার্থী নিয়ে পথ চলা শুরু করলেও প্রতিষ্ঠিতা মাওলানা ওয়াদুদের একক প্রচেষ্টায় বর্তমানে এটি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পেয়েছে । তথ্যমতে, নারীদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ২০০১ সালে পাঁচবিবি পৌর শহরের হিলি- জয়পুরহাট সড়ক সংলগ্ন টিএন্ডটি পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী নিয়ে মাদ্রাসাটির যাত্রা শুরু হয়। অনেক প্রতিকূলতাকে জয় করে প্রতিষ্ঠার পর হতে ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদের দক্ষ পরিচালনা ও ইসলামী শরীয়তের পর্দার বিধান মেনে জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি মান সম্মত দীনি শিক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি এলাকায় আলো ছড়িয়ে চলছে । আস্হা তৈরি করেছে মানুষের মনে । ফলে মাদ্রাসাটির শিক্ষা ও ইসলামী নিয়ম কানুনের বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে তিনটি ভাড়া করা ক্যাম্পাসে পাঠদান চালাতে হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে আবাসিক অনাবাসিক মিলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪৫ জন। চলতি শিক্ষাবর্ষে আরো ভর্তি হয়েছেন ৩৪৫ জন ছাত্রী। চলমান রয়েছে ভর্তি কার্যক্রম ।

মাদ্রাসাটি জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়্যা বাংলাদেশ বোর্ডের অর্ন্তভূক্ত হয়ে মক্তব শাখা হতে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাত্রা শুরুতে মাত্র একজন পরিচালক কাম শিক্ষক হলেও প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রায় ৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে । যার মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন মহিলা শিক্ষক ও ১৪ জন পুরুষ শিক্ষক। এছাড়া রয়েছে অন্যান্য কর্মচারী ।

শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্যও উল্লেখযোগ্য । চলতি শিক্ষাবর্ষে জামায়াতে শরহে বেকায়া জাতীয় দ্বিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়্যা বাংলাদেশ বোর্ড অধীনে বোর্ড পরীক্ষায় ২জন মেধা তালিকায় ২ ও ৯ম স্থান অধিকার করে এবং মাদ্রাসাটি বোর্ড পরীক্ষা গুলোতে সার্বিক ফলাফলে সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার মধ্যে শীর্ষ ১০ ম স্থানের মধ্যেই থাকে। এ পর্যন্ত দাওরা হাদিস শিক্ষা শেষ করে বের হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। যাদের অনেকেই আজ স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ।
মাদ্রাসাটির এমন সাফল্যের জন্য পাশের উপজেলা সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে এখানে ভর্তি হয়ে দ্বীনি শিক্ষার আলো গ্রহন করছেন।

মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর অভিভাবক পার্শ্ববর্তী হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের আব্দুল মান্নাফ বলেন, অন্যান্য মাদ্রাসার থেকে এ মাদ্রাসার পড়াশুনার অনেক ভাল। পাশাপাশি এখানে পর্দার ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল যা আমাদের মেয়েদের জন্য নিরাপদ।
বিরামপুর উপজেলার মন্দিরা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলজার হোসেন বলেন, ৯ মাস আগে আমার মেয়েকে এখানে ভর্তি করিয়েছি। এখানে নিরাপত্তা সহকারে মান সম্মত পড়াশোনা হয় । উপজেলার লকনাহার গ্রামের আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক বায়জিদ বোস্তামি বলেন, মেয়েদের জন্য বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানটি উপযুক্ত ভুমিকা রাখায় এখানে আমি মেয়েকে পড়াতে আগ্রহী হয়ে এক বছর আগে ভর্তি করিয়েছি ।

মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নয়, নারীদের মাঝে দীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই মূলত এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তিনটি ক্যাম্পাস হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে । কোন দীনি ভাইয়েরা এগিয়ে আসলে এসমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা করেন ।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!