সমাজের পিছিয়ে পরা গ্রামীণ মহিলাদের মুল শ্রোত ধারায় আনতে সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসুচী গ্রহন করে থাকেন। এরমধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী প্রদান ও লালন-পালনে ্ঔষধ-খাদ্য সহ নানান উপকরণ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার গ্রামীণ মহিলাদের পশু পালনে প্রায় ২’শ ঠান্ডা-গরম সহনশীল আধুনিকমানের ঘর নির্মাণ করে দেন। এসব ঘরে গ্রামের মহিলারা তাদের পশু পালনে নিরাপদ মনে করছেন। উপজেলার সোনাপুর গ্রামের নাজমা বেগম বলেন, সংসারের বাড়তি আয়ের জন্য আমি হাস-মুরগী ও ছাগল লালন-পালন করি। প্রায় সময় নানান রোগে এসব মারাও যায় ফলে ক্ষতির মুখে পরতে হয় বলেন নাজমা। সোনাপুর আদিবাসী পাড়ার শ্রী রিবিকা তপ্না বলেন, স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে পশুগুলো রাখতাম এবং রোগ হলে চিকিৎসার অভাব ছিল। একারনে প্রায় সময় আমাদের পালিত পশুগুলো মারা যেত। আটাপুর ইউপির বেতগাড়ী আদিবাসী পল্লীর কৌশীলা রানী একই মন্তব্য করেন। বর্তমানে সরকারীভাবে পাওয়া আধুনিক ঘরে তাদের গৃহপালিত পশুগুলো পালনে রোগ-বালাই কম হয় মারাও যায়না। গ্রামীণ মহিলারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের আধুনিক ঘর পেয়ে ভিশন খুশি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নিয়ায কাযমীর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গ্রামীণ মহিলাদের পশু পালনে আধুনিকমানের ঘর প্রদান করা হয়।তিনি আরো বলেন, পর্যায়ক্রমে উপজেলায় আরো এমন ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।