শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
গরমে হাঁসফাস,তাপপ্রবাহ থাকবে কতদিন পাঁচবিবির ঘোনাপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে উত্তেজনা রংপুরে বিক্ষোভ একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চাই না কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত রাজমিস্ত্রী নুর আলমের আন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ পরিবারটিকে সহায়তা সাভারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া পিএসসি’র সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও ক্যাডার পদে স্থায়ীকরণ হতে পারছেননা বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারভুক্ত চিকিৎসকরা সাভারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের কয়েকজন শনাক্ত পাঁচবিবিতে অসময়ে মাচায় তরমুজ ফলিয়ে খুশি চাষীরা নান্দাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত-আহত পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ রংপুরে তাহির হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে তুষার কান্তি মন্ডল সাংবাদিকদের বিপদের বন্ধু মুহাম্মদ কাইসার হামিদ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সাথে নবাগত ওসি’র মতবিনিময় ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার: যেসব কাজ করতে পারবে সেনাবাহিনী
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

পাঁচবিবিতে অসময়ে মাচায় তরমুজ ফলিয়ে খুশি চাষীরা

সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধি / ১১ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৪ অপরাহ্ণ

 

সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অসময়ে মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলার ভূতগাড়ী সহ কয়েকটি এলাকায় জনপ্রিয় হচ্ছে মালচিং (মাচা) বাঁধিয়ে বারোমাসি তরমুজ চাষ। পরিবেশবান্ধব এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন রঙের তরমুজ চাষ করে সাফল্যের মূখ দেখছেন কৃষকেরা। বিভিন্ন রং আর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাজারে এ রসালো ফলের চাহিদাও রয়েছে বেশ। স্বাদেও বেশ মনকাড়া। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে মালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজ চাষ। এসব তরমুজ বিক্রির জন্য কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। মাঠ থেকে তোলার পরই বিক্রি হয়ে যায়। প্রতিদিন তরমুজের হাট বসে এলাকার রাস্তায়। এসব রং-বেরংয়ের তরমুজে আকৃষ্ট হয়ে ক্রয় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ি ও পথচারীরা। এ তরমুজ চাষে যেমন বেকারত্ব ঘুচেছে, তেমন সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানেরও। তুলনা মুলক ভাবে গত বছরের চেয়ে এবার বেড়েছে এ তরমুজের চাষাবাদ। জানা গেছে এপ্রিলের প্রথম থেকে তরমুজ আহরণ শুরু হলেও চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ভূতগাড়ি, ভারাহুত, শিরট্টি, গোড়না, জালালপুর ও নওটিকা, ভাসিলার মোড়সহ আশপাশে অনেক মাঠ থেকে নানা রংয়ের তরমুজ বেঁচাকেনা হচ্ছে। অন্য ফসলের তুলনায় তরমুজ বিক্রি করে তিনগুণ লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে মাচায় চাষ করা এ তরমুজের। পাইকারি বাজারে এসব তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। সেই তরমুজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
চাষিরা জানান, বছরের নয় মাস বাঁশের মাচায় তরমুজ চাষ করা যায়। চারা রোপণের ৫০ দিনের মধ্যে ফলন আসে এবং পরিপক্ক ফল হয়। লাভজনক হওয়ায় বেড়েছে তাদের আগ্রহ। দাম ভালো পাওয়ায় তারা খুশি। তরমুজ চাষকে কেন্দ্র করে ভূতগাড়ী ও নওটিকা এলাকায় গড়ে ওঠেছে অনেক দোকানপাটও।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৩৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। সদরে ৩ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ১৫ হেক্টর, আক্কেলপুরে ৭ হেক্টর, ক্ষেতলালে ৮ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে বাঁশের মাচায় তরমুজ চাষ হয়েছে।
চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তরমুজ চাষের গল্প বেশি দিনের নয়। ২০১৮ সালে পাঁচবিবি উপজেলার ভারাহুত গ্রামের কৃষক আবু মুসা তার তিনশতক জমিতে বাঁশের মাচায় তরমুজের চাষ শুরু করেন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) করেন আর্থিক সহায়তা ও জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (জেআরডিএম) করেন কারিগরী সহযোগিতা। বাঁশের মাচা বাবদ ওই জমিতে তাঁর খরচ পড়ে ৫ হাজার টাকা। ওই বছর তিনি উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করেছিলেন ২৪ হাজার টাকা। তার দেখাদেখি অন্যরাও ঝুঁকে পড়েন তরমুজ চাষে। সেই থেকে কৃষকদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তরমুজ চাষে আর্থিক পরিবর্তন ঘটেছে চাষীদের। যাদের আগে কিছুই ছিল না, তরমুজ চাষ করে তারা এখন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল।
তরমুজ চাষে সফল ভারাহুত গ্রামের আবু মুসা বলেন, এবার সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে বিঘায় ৮০ থেকে ১০০ মণের ওপর তরমুজ উৎপাদন হবে। দাম ভালো থাকলে বিক্রি হবে এক থেকে সোয়া লাখ টাকা। এবার ১২শ থেকে ১৪শ টাকা মণ পর্যন্ত তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। তরমুজ চাষে চাষীরা দিনদিন স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
গত কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ করছেন চাষী ফরিদুল ইসলাম। এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, হলুদ ও সবুজ জাতের তরমুজ চাষ করেছি। বছরের ৯ মাস তরমুজের চাষ করা যায়। শীত মৌসুম আসলে এসব জমিতে আলু চাষ করা হয়। ধান-আলু এলাকার প্রধান ফসল হলে কি হবে? তরমুজ চাষেই অধিক লাভ হচ্ছে।তাই তরমুজ চাষ দিনদিন বেড়েই চলছে।
আরেক চাষী মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ধান-আলুর চাষ করলে বছরে তিনবার বিক্রি করা যায়। আর তরমুজ চাষ করলে বছরের নয় মাস বিক্রি করে টাকা পাওয়া যায়। তখন অভাব কি তা বোঝা যায় না। আগামীতে এর চাষ আরও বাড়বে।
পাঁচবিবি বাজারে খুচরা তরমুজ বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন সকালে জমি থেকে তরমুজ নিয়ে এসে এই বাজারে খুচরা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। সারা দিনে লাভ ভালই টিকে। অন্য ফলের চেয়ে তরমুজ বিক্রি হয় বেশী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভিন বলেন, মাচা পদ্ধতিতে বর্ষাকালিন এই তরমুজ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের ফাঁদ, সেক্স ফেরোমন ট্যাব ও জৈব বালাইনাশক। এতে করে একদিকে ফসল হচ্ছে নিরাপদ অন্যদিকে কমছে উৎপাদন খরচ আর কৃষক হচ্ছে আর্থিকভাবে লাভবান। কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের সবসময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবার ফলন ও দাম পাওয়ায় আগামীতে তরমুজের চাষ আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!