সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নীলতাপাড়া গ্রামের মৎস্যচাষী আহমদুল্যা নিরাপদ ও আধুনিক অ্যাপসের মাধ্যমে মাছচাষ করছেন। তিনি বলেন, আগে যে পুকুরে বছরে হাজার মন মাছ উৎপাদন হত এই পদ্ধতি ব্যবহার করে একই পুকুরে এখন ১২ থেকে ১৪ হাজার মন মাছ পাওয়া যায়। ফলে আমি আগের চেয়ে অনেক লাভবান হচ্ছি। আহমদুল্যা আরো বলেন, জেআরডিএম এনজিও আমাকে একটি মেশিন দিয়েছে সেটি পুকুরের মাঝখানে স্থাপন করেছি। আগে পুকুরে মাছচাষ করলে কখন কি পরিমান মাছকে খেতে দিতে হবে সঠিক পরিমান জানা যেত না। পানিতে অক্সিজেনের পরিমান কেমন তাও অনুমান করা যেত না। মাছের কোন রোগবালায় হলে বা কি কারনে রোগ হয় তাও জানা যেত না। জেআরডিএমের দেওয়া মেশিন এখন সব বলে দেয়। তিনি আরো বলেন, আমি যেখানেই থাকিনা কেন আমার মোবাইলের সঙ্গে মেশিনটি যুক্ত করা আছে পুকুরের মাছ সহ সব তথ্য সহজেই পাই। এই পদ্ধতিতে মাছচাষ করে আমি এখন অনেক লাভবান হচ্ছি। আমার নিকট থেকে বিষয়টি জানতে অনেক মাছচাষী আসছে সাধ্য মত তাদেরকে পরার্মশও দিচ্ছি। জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (জেআরডিএম) নামের একটি এনজিও পিকেএসএফের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদের) অর্থায়নে নিরাপদ ও আধুনিক পদ্ধতিতে মাছচাষের উপর কাজ করছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ইফাদের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ড.ভ্যালেন্টাইন আচানচোর নেতৃত্বে ৩ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল নীলতাপাড়ায় পুকুরে মাছচাষ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি পুকুরের মালিক সহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন পপি, জেআরডিএমের নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা, পরিচালক মোঃ শওকত আলী, সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ এন এম ওয়ালিউজ্জামান সহ অনেকেই। পরে উপজেলার শালাইপুর চৌধুরী হ্যাচারীও পরিদর্শন করেন প্রতিনিধি দল।