সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধি
পাঁচবিবিতে বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিত্যক্ত ভূমিতে অল্প ব্যয়ে অতি প্রয়োজনীয় এই মসলা চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠছে। পাঁচবিবি উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে কৃষক বস্তায় আদা চাষ করছেন। ফলে ক্রমেই বাড়ছে এই পদ্ধতিতে আদা চাষের পরিধি। পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের দরগাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান (৩৬) প্রায় ২২০ বস্তায় আদার আবাদ করছেন। তিনি বাড়ির পাশে বাঁশঝাড় সংলগ্ন পরিত্যক্ত ভিটায় বস্তায় সারিবদ্ধভাবে আদার চাষ করেছেন। এছাড়া জায়গা সল্পতার কারনে বাড়ির সিঁড়ি, ছাদে, বারান্দায়- বেগুন, ঢেঁরস, পটল, ঝিঙ্গা, সহ বিভিন্ন সবজির চাষ করছেন তিনি।
তিনি জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় এখন অনেকেই তাদের বাড়ির পাশে, বাঁশঝাড়ে, অব্যবহৃত ভিটা বা বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা ছাষ শুরু করেছেন। প্রথমে মাটির সাথে গোবর, বালি ও ফিউরাডন ভালভাবে মিশিয়ে বস্তায় ভরে নিতে হবে। প্রতি বস্তায় ৪ টি করে অঙ্কুরিত আদার বীজ বপন করতে হয়। এভাবে ২২০ টি বস্তায় তিনি আদার চাষ করেছেন। প্রতি বস্তা হতে প্রায় ২ কেজি করে আদা পাওয়া যাবে। প্রতিকেজি আদার মূল্য ৩০০ টাকা হিসেবে, ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার আদা পাওয়ার আশা করছেন তিনি। আশানুরূপ সাফল্য পেলে তিনি আগামীতে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করবেন বলে জানান।
উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চাষি আমানুল্লা খান, তাঁর পুকুরপারে পরীক্ষামূলকভাবে ১০ টি বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এতে আশানুরূপ ফল পেলে পরবর্তীতে বানিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
পাঁচবিবি উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নেই কমবেশি আদা চাষ হচ্ছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০০০ টি বস্তায় আদার চাষ হয়েছে এবার। আদা উৎপাদনে সময় লাগে ১০-১২ মাস। প্রতিটি বস্তা থেকে প্রায় ২ কেজি আদা উৎপাদিত হয়। এতে কৃষকেরা পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত আদা বাজারজাত করে অনেক লাভবান হচ্ছেন।