সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধি
ঢাকার রাজপথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হওয়া জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চকশিমুলীয়া গ্রামের ছোট্ট পান-বিড়ির দোকানদার আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল কাদের এখনো সুস্থ্য নয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় হাসপাতালে ১৬ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে আসে কাদের। আগের মত এখন সে সুস্থ্য সবল চলাফেরা ও জোড়ে কথা বলতে পারেনা। ডাঃ বলেছেন তার আরো উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমরা গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব বলে জানান কাদেরের মা কামরুন নাহার। বিছানায় শুয়ে আব্দুল কাদের বলেন, আমি ঢাকার আহছিনিয়া মিশন ইনস্টিটিউট টেকনোলজির প্যাথলেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আমি একজন সন্মুখ যোদ্ধা ছিলাম। আন্দোলনের প্রথম থেকেই আমি সহ আমার প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবাই রাজপথে ছিলাম। গত ৪ আগষ্ট মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের একটি রাবার বুলেট গুলি আমার বুকের ডান পাশে লাগে এবং পিঠের পিছন পর্যন্ত ছিদ্র হয়। আমি রাস্তায় পরে যাই সহপাঠিরা আমাকে প্রথমে আল-হেলাল হাসসপাতালে নেয়। ওই হাসপাতালে গুলি বের করার মত যন্ত্রপাতি নেই বলে জানায় ডাক্তার। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আমাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার ডাক্তারও প্রথমে আমার চিকিৎসা করতে অপরাগত প্রকাশ করে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তর করতে চায়। শ্বাস প্রশ্বাস সচল রাখতে অন্য এক মানবিক ডাক্তার আমার বুকের পাশে ছিদ্র করে নল লাগায়ে দেয়। ৩ দিন পর পিঠ ছিদ্র করে রাবারের গুলিটি বের করেন। কাদের আরো বলেন, সামনেই আমার ফাইনাল পরীক্ষা হলেও এমন শরীর নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা সম্ভব হবে না। উন্নত চিকিৎসা করার মত আমার অভাবী পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রতি কাদেরের আকুল নিবেদন তার চিকিৎসার যেন সুব্যবস্থা করা হয়। কাদেরের মা কামরুন বলেন, আমার ছেলে আমার বুকে জীবিত ফিরে এসেছে আল্লাহর দরবারে লাখ-কোটি শুকরিয়া।