বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপের মুখে গত ৫ আগষ্ট খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। হাসিনার পলায়নের খবরে সারাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন এবং আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে। একইসঙ্গে উত্তেজিত সাধারন জনতা খুনি হাসিনার দোসরদের বাসাবাড়ি ভাঙ্গচুড় ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের হিলি পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্তর বাসা ভাঙ্গচুড় ও আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। উৎসুকজনতার মত জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের কলেজছাত্র ফাহিম হোসেনও ঘটনাটি দেখতে গিয়ে ভুলবশত আগুনে পুড়ে শহীদ হন। উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দিনমজুর কৃষক আব্দুল মালেকের ছেলে ফাহিম হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের একাদ্বশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। গত বুধবার বিকালে শহীদ ফাইমের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেন জয়পুরহাট ও দিনাজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। শহীদ ফাহিমের বাবার হাতে নগদ ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাও. ফজলুর রহমান ও দিনাজপুর দক্ষিন জেলা জামায়াতের আমির মাও. আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান একইসঙ্গে ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবে বলে জানান জামায়াত নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদের সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা জামায়াতের আমির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম ও জয়পুরহাট জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন সহ অনেকেই।