বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র নজিবুল সরকার বিশালের বাড়িতে বিএনপির নেতাকর্মি। শনিবার দুপুরে শহীদ বিশালের শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন। এরআগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ বিশালের কবর জিয়ারত ও রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন। বিপদে-আপদে ভবিষ্যতে তার পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি আরো বলেন, দেড়-যুগ পর স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে ছাত্রসমাজ। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারমুক্ত হলো বাংলাদেশ। যে স্বৈরশাসক মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণকে শাসনের নামে শোষণ করে আসছিল কিন্তু আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। অনেকগুলো তাজা প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এ আন্দোলনে অনেকেই নিহত হয়েছে আহতর সংখ্যাও অগণিত বলেন তিনি।
এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান, পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান চৌধুরী, পৌর বিএনপির আহবায়ক আবুল হাসনাত মন্ডল হেলাল, যুগ্ন-আহবায়ক জিয়াউল ফেরদৌস রাইট, বাগজানা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল হক, ধরঞ্জী ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক সেলিম রেজা ডিউক, সদস্য সচিব মোঃ মোনজুরে মওলা পলাশ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোক্তাদুল হক আদনান, যুগ্ম-আহবায়ক গোলাম রব্বানী রাব্বি, ছাত্রদল নেতা শামীম আহম্মেদ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। গত ৪ আগস্ট জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বিশাল মারা যায়। সে পাঁচবিবি বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সেলো মেশিনের মিস্ত্রি আব্দুল মজিদ সরকার তার বাবা।