জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কৃষকের কলা বাগানের শতাধিক কলা গাছ ও ১৭ টি ইউক্যালিপটাস গাছ রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষ কর্তৃক কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে । ৩০ জুন রোববার সকালে পৌরসভাধীন সীতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মালঞ্চা গ্রামের মৃত রায়েজ উদ্দিনের পুত্র আনোয়ার হোসেন ।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকট অভিযোগ দেন।
অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী কৃষক ১৯৯৮ সালের ১৮ জুন, ২৫৮১ নং দলিলমূলে সীতা গ্রামের মৃত কাঁচু সরদারের পুত্র আজিবর সরদার ও আব্দুস সাত্তার সরদারের নিকট থেকে আরএস ৮ খতিয়ানের ৬৮ দাগের ১ একর ৮৩ শতক সম্পত্তি দলিলমূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন।
উল্লেখিত জমি নিয়ে মালঞ্চা গ্রামের আফতাব সরদার দিং বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারী জজ, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট আদালতে ১৫/২০০১ নং বন্টন মামলা করে। পরবর্তিতে বাদীপক্ষ সলেহনামা করিয়া আপোষ নিস্পত্তি করেন।
সম্প্রতি তারা আবারো কয়েক দফা উক্ত জমিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে আমরা থানায় অভিযোগ করি। এ অবস্হায় হঠাৎ গত ২৯ জুন শনিবার বিকেলে প্রতিপক্ষ সীতা গ্রামের আঃ মান্নান ওরফে মানো কসাই গং ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের এই জমির দেয়া বাঁশের বেড়ার ভেঙ্গে ফেলে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে তারা রাতের আধারে জমিতে লাগানো বাগানের শতাধিক কলা ও ১৭টি ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে ফেলে । যার আনুমানিক মুল্য ২ লক্ষ টাকা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ বলেন, এর আগে আমি কয়েক দফা আঃ মান্নান ওরফে মানো কসাইকে বলেছি, আপনি মামলার রায় নিয়ে আসলে আমি বুঝিয়ে দিব, তাছাড়া আপনারা কেউ জমিতে যাবেন না। এরপরেও তারা গাছ কাটার যে ঘটনাটি ঘটালো তা ঠিক হয়নি।
আঃ মান্নান ওরফে মানো কসাই এর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, সি,এস মূলে আমরা এই সম্পত্তির দাবিদার। আনোয়ার হোসেন দিং যাদের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছে তাদের কাগজ সঠিক নয়। আমরা কারো গাছও কাটিনি ও ঘেরাও ভাংচুর করিনি।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । সোমবার (১ জুলাই ) সরেজমিনে পরিদর্শন করে অভিযোগে সত্যতা পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্হ কৃষককে আইনগত সহায়তা করা হবে।