জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার মিঠু কবিরাজের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারী আনসার সদস্য। এর প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ঐ নারী উপজেলায় মৌখিক ও জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠু কবিরাজ তার ২টি সন্তান সহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে । এমন অবস্থায় সন্তান সহ আতংক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী। মিঠু কবিরাজ উপজেলার রতনপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের নাসির কবিরাজের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে জানাযায়, বিভিন্ন সময়ে উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের ডিউটিতে নাম দেওয়ার অজুহাতে ভুক্তভোগী ঐ নারীর সাথে সর্ম্পক গড়ে তোলেন মিঠু কবিরাজ। কিন্তুু ঐ নারীর আনসার ও ভিডিপির কোন প্রশিক্ষণ সনদ না থাকায় ৬ হাজার টাকায় তাকে একটি ভুয়া সনদ ( যার নং ৪০২১৮৯৭) তৈরী করে দেন মিঠু। এরপর সেই সনদ দিয়ে বিভিন্ন সময় ডিউটিও করেন ঐ নারী। সুযোগ বুঝে ঐ নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে একাধিকবার শারিরিক সম্পর্ক গরে তোলে মিঠু । সম্প্রতি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডিউটিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রশিক্ষণ সনদ, কাগজ পত্র বাবদ তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকাও নেয় মিঠু কবিরাজ। তবে নির্বাচন উপলক্ষে সদস্য যাচাই বাছাইয়ের সময় সনদটি জাল হওয়াই নির্বাচনী ডিউটিতে বাদ পড়েন ঐ নারী সদস্য । পরে এ নিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। ভবিষ্যতে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে ভয় ভীতি ও প্রাণ নাশের এমন হুমকি দেয় মিঠু । একারনে ঐ নারী জেলা ও উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ।
এবিষয়ে মিঠু কবিরাজ বলেন,বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট । এসবের কোন ভিত্তি নাই ।
উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা তৃপ্তি রাণী বলেন,আমি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে মেয়েটি মৌখিক ভাবে জানায় যে মিঠু তাকে জাল সনদ তৈরি করে দেয় এবং তার সংগে খারাপ সম্পর্কের কথা বলেন।
জয়পুরহাট জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত ই খোদা জানান, অভিযোগ পেয়েছি , এব্যাপারে ৩ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । উপজেলা নির্বাচনের কারনে তদন্ত হয়নি । এখন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে ।