জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পাঁচবিবি-শালপাড়া সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক মরা গাছ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সামান্য ঝড় বৃষ্টি ও বাতাসে এসব গাছ ভেঙে পড়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন পথচারী, স্থানীয় বাসিন্দারা সহ ও যানবাহন চালকরা। গত ৩০ এপ্রিল মতিবুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি পাঁচবিবি হাট থেকে গরু বিক্রি মোটরসাইকেল যোগে বাড়ীতে ফেরার সময় উপজেলার রঘুনাথপুর নাম এলাকায় একটি মরা ইউক্যালিপটাস গাছের ডাল তার মাথায় পড়লে সে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন । এ অবস্হায় এমন দুর্ঘটনা রোধে এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজনমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা জানান, পাঁচবিবি-শালপাড়া সড়কের দুই পাশে শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির মরা, আধমরা গাছ রয়েছে । এসব মরা গাছ ও গাছের ডালপালা সামান্য বাতাস বা ঝড়েই ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ সহ মারাত্মক দুর্ঘটনায় সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। বিশেষ করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন মরণ ফাঁদ। মরা গাছের কারণে দুর্ঘটনা রোধে দ্রুত এসব গাছ অপসারণের দাবি করেছেন পথচারী ও স্থানীয়রা ।
উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের হৃদয় চন্দ্র সরকার বলেন, রাস্তার পাশে মরা গাছগুলো আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য ঝড় বাতাসেই ডালপালা রাস্তায় ভেঙ্গে পড়ে।
একই গ্রামের মিঠুন চন্দ্র বলেন, রাস্তার পাশে আমার বাড়ী। সামান্য বাতাসেই ডাল ভেঙ্গে বাড়ীর উপর পড়ে। বাতাস বেশি হলে যে কোন আমার বাড়ীর উপর ভেঙ্গে পড়বে। সরকারী গাছ হওয়ায় নিজে কাটতে পারি না।
ভ্যানচালক অমৃত্য চন্দ্র বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে আতংকের মধ্যে চলাচল করি। কখন মাথায় পড়ে, আতংকে থাকি । তিনি মরা গাছগুলোর অপসারণের জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান ।
ধলাহার ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক তোজাম বলেন, রাস্তার মরা গাছগুলো পথচারীদের প্রতিনিয়ত বিপদের কারন। আজ আমার ইউনিয়নের ছেলের মাথায় ডাল ভেঙ্গে পড়লে ছেলেটি মারা যায়। তিনি উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনার মাধ্যমে রাস্তার মরা গাছগুলো অপসারণের আহবান জানান।এবিষয়ে জেলা বন বিভাগের রেন্জ অফিসার কামরুল হাসান বলেন, এলাকা পরিদর্শন করে স্হানীয় জনপ্রতিনিধিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ গাছ গুলো কেটে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে এবং অচিরেই টেন্ডারের মাধ্যমে অন্য গাছ গুলো অপসরণ করা হবে ।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মারুফ আফজাল রাজন বলেন,স্হানীয় তহশিলদারকে মরা গাছ গুলো চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে । উক্ত গাছ গুলো বন বিভাগের সাথে পরামর্শ করে দ্রুত অপসারণ করা হবে ।