জয়পুরহাটের কালাই থানার ফেরদৌস হত্যা মামলার ২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের সদস্যরা।
জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়,সিপিসি- ৩ জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের ১টি টোকস আভিযানিক দল ৫ এপ্রিল শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার বিয়ালা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামী কালাই থানার বিয়ালা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের পুত্র মোঃ জাকারিয়া (৩২) ও বিয়ালা গ্রামের মৃত কেরামত আলীর পুত্র মোঃ নুরুন্নবী (৪৬) কে গ্রেফতার করে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ২০২০ সালের ১১ই নভেম্বর বিকেলে কালাই থানার মাত্রাই ইউনিয়ন এলাকায় পাঁকা রাস্তার উপর পৌছামাত্র ধৃত আসামী জাকারিয়া ও নুরন্নবীসহ অজ্ঞাত কয়েকজন ফেরদৌসকে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে ধরে১ কিঃমিঃ দূরে নিয়ে গিয়ে সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে হত্যার উদ্দশ্যে হাসুয়া ও বাশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
পরবর্তীতে ২২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে ফেরদৌসকে তার পরিবার অনেক খোজাখুজির পর জানতে পারে ফেরদৌস বিয়ালা মৌজার ধুনট পুকুর পাড়ে অবচেতন অবস্থায় পরে আছে। পরিবারের সদস্যরা আহত ফেরদৌসকে আধুনিক জেলা হাসপাতাল, জয়পুরহাটেচিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরবর্তীতে হেলথ সিটি হাসপাতাল বগুড়ায় স্থানান্তর করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় মৃত ফেরদৌসের পরিবার বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।কালাই থানায় মামলা দায়েরের পর সিআইডি, জয়পুরহাট এর রিকুইজিশন মূলে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল জাকারিয়া এবং নুরন্নবীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে গ্রেফতারকৃত আসামীদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কালায় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।