সুনামগঞ্জের ছাতকে এক ভাই কর্তৃক অপর দুই প্রবাসী সহোদরের খরিদা ও মৌরশী ভূমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে দুই সহোদরের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশ্বস্থ প্রতিনিধির মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগি প্রবাসী কাজী মমিনুল ইসলাম।
জানা যায়, উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ছৈলা গ্রামের মৃত কাজী ওয়ারিদ আলীর ৩ ছেলে, ৪ মেয়ে ও ২য় স্ত্রী রেখে মারা যান। ছেলেরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। এর মধ্যে বড় ছেলে কাজী কবিরুল ইসলাম সম্প্রতি দেশে এসে সৎ মাসহ চার বোনকে গোপন রেখে ছোট ভাই কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলামসহ তিন ভাইয়ের নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গত ২৬ জুলাই ২০২৩ইং একটি উত্তরাধিকারি সনদ গ্রহণ করেন। এ সনদের মাধ্যমে পৈতৃক সম্পত্তি নিজের নামে এনে কিছু ভূমি বিক্রি করেছেন।
এদিকে, উত্তরাধিকারি সনদে চার বোন ও সৎ মাকে বাদ দিলেও গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ সালে কাজী কবিরুল ইসলাম কর্তৃক তার সকল ভাই-বোনদেন কাছে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে। পরবর্তীতে আইনজীবির মাধ্যমে আনিত বিষয়গুলো সত্য নয় বলে সকলের পক্ষে ওই নোটিশের জবাব দেন কাজী মমিনুল ইসলাম। পাশাপাশি এই ধরণের বিভ্রান্তিমূলক নোটিশ প্রদানে বিরত থাকার জন্য জবাব নোটিশে অনুরোধ করা হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত কাজী ওয়ারিদ আলী ছেলে কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলাম স্ব-পরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে তাদের প্রবাসী বড় ভাই কাজী কবিরুল ইসলাম দেশে এসে তাদের জায়গা সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর-দখলের পায়তারা করছে। ইনাম মৌজার ৮৪৮, ৮৮১ দাগের ২৩ শতক পৈতৃক ভূমি ও ৮৫২ দাগের ১৮শতক খরিদা ভূমি কাজী মমিনুল ইসলাম ও কাজী আনোয়ারুল ইসলামের নামে রয়েছে। এইসব ভূমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন রয়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা বরাবরে দলীল সম্পাদন করে দেন কাজী কবিরুল ইসলাম।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর জোর পূর্বক ভাবে তাদের ভূমি দখল করে স্কুল ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। নিরুপায় হয়ে প্রবাস থেকে জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।