সুনামগঞ্জের ছাতকে পৃথক স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের জাহিদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাচা মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার টিনশেডের বসতঘর ও জটি গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে, কৃষক আঙ্গুর মিয়ার খড়ের ঘরে পৃথক এ দু’টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার রাত ২টার দিকে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের জটি গ্রামের কৃষক আঙ্গুর মিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশে খড়েরঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন রাতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের শব্দে ঘুম থেকে উঠে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর আগে গবাদি পশুর খাদ্য (খড়) পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে, অল্পের জন্য বাড়ির বসতঘরগুলো রক্ষা পায়।
ওই বাড়ির বসবাসকারি
একাত্তরের বীরাঙ্গনে লড়াকো সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আলী বলেন, শত্রুতা বশত কে বা কাহারা রাতের আধাঁরে তার ভাতিজা কৃষক আঙ্গুর মিয়ার খড়সহ ঘর ও পাশের বেথঝাড় পুড়িয়ে দিয়েছে। অল্পের জন্য এ অগ্নিকাণ্ড থেকে বসতবাড়িসহ জান-মাল রক্ষা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে জাহিদপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের কাচা মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার টিনশেডের বসতঘর পুড়ে গেছে। তালাবদ্ধ ঘর পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাবেক মেম্বার আবুল খয়ের বলেন, রাত ৪টার দিকে তার ছোট ভাইর টিনশেডের ঘরে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনে পুরোঘর পুড়ে গিয়ে অন্তত ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
সুজন মিয়া বলেন, গ্রামের ধন মিয়া মহালদার কর্তৃক তার বসতঘর পুড়ানো হয়েছে।
অপরদিকে ধন মিয়া মহালদার সুজন মিয়ার বক্তব্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত উল্লেখ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। আমাদের লোকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে নিজেই তার বসতঘর পুড়াতে পারে। গ্রামের নিরপরাধিদের ফাঁসানো তাদের পরিবারের এমন পরিকল্পিত কর্মকান্ড এলাকার মানুষ ভালো করেই অবহিত আছেন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাতক সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাথে ছিলেন জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র দাশসহ একদল পুলিশ। এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা, কম্বলসহ শুকনো খাবার দেওয়া হয়।