জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নঁওদা ও ধুরইল গ্রামে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌচাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তাদের দেখাদেখী দিন—দিন বেড়েই চলেছে মৌচাষ। এখানকার উৎপাদিত মধু ভেজালমুক্ত ও গুনগত মান ভাল হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও কোম্পানীতে। স্থানীয়রা বলছেন এ মৌচাষের ফলে সরিষার ফলন বৃদ্ধি হয়।
একজন মৌচাষির সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, “আমরা মৌমাছি চাষ করি, নিজস্ব তত্ত্বাবধানে উৎপাদিত ১০০ ভাগ খাঁটি মধু আমরা নিজেরাই উৎপাদন করি ও মৌবাক্স হতে সংগ্রহ করি। প্রতিকেজি মধু ৩০০—৪০০ টাকা দরে বিক্রি করি। খুচরাভাবে ও বড় পাইকারের নিকট মধু বিক্রি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন হাত বদল হয়ে আমাদের উৎপাদিত মধু দেশের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানীতে সরবরাহ হয়ে থাকে।
জয়পুরহাট বিসিক এর উপ—ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন, “জয়পুরহাট একটি কৃষি নির্ভর জেলা, এই জেলায় বিভন্ন ফসলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষার ফলন বৃদ্ধিতে মৌচাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায়, জয়পুরহাটে এ পর্যন্ত শতাধিক মৌচাষিকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। তাদের নিবন্ধন ও আইডি কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ জন মৌচাষিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। এবছর জয়পুরহাট জেলায় ৩০(ত্রিশ) মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।”