রেলপথমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলপথ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হলো রেলপথ। সমগ্র বাংলাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আসার জন্য রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। এ রেলপথ চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী আজ (শনিবার) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা-মোংলা রেলওয়ে প্রকল্পের এলাইনমেন্ট (সেতু নম্বর-১০) পর্যন্ত এবং মোহাম্মদ নগর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে বাংলাদেশের সাথে ভারত, নেপাল ও ভূটান এর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ও মোংলাবন্দর ব্যবহার করে কম খরচে পণ্য আমদানি ও রফতানি করার সুযোগ ঘটবে। এতে করে সরকারি রাজস্ব বাড়বে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। রূপসা নদীর ওপর ৫.১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর রেলসেতুর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ফুলতলা-মোংলা রেলপথ এর ৯৮.০৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে এবং আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মোঃ আরিফুজ্জামান, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, উপপ্রকল্প পরিচালক (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আহমেদ হোসেন মাসুম, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, খুলনা-মোংলা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো। আর ট্র্যাক লিংকিং করছে আরেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত নয়টি প্লাটফর্ম রাখা হয়েছে। এছাড়া শেষ হয়েছে একশত সাতটি ছোট ব্রীজ ও নয়টি আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ। ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত ডাবল লাইনের রেলপথ প্রকল্পের মোট ৯১ কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে চার হাজার দুইশত ৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
পরে মন্ত্রী বাগেরহাট জেলায় মোংলা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন।