জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মেহগনি গাছের পাতা পাড়াকে কেন্দ্র করে নিজের মা, বোন ও ভাগনীকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আলিম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আলীম ঐ গ্রামের মৃত তাছের আলীর পুত্র। এ ঘটনায় আরো ৪ জন গুরুতর জখম হয়ে উপজেলা মহিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। গত ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মোহাম্মদপুর গ্রামের সোনা মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আরা বেগম(৩২), মৃত তাছের আলীর মেয়ে তোফেলা বেগম(৫০), স্ত্রী রাবেবা বেওয়া(৮০) ও আব্দুল আলিমের পত্র রুহুল আমিন(২৭)।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের সোনা মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আরা বেগম বাড়ীর পাশে মেহগনি গাছের পাতা পাড়তে গেলে গাছটি নিজের দাবী করে আলীম বাঁধা প্রদান করেন। এতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আলীমের বাড়ীর লোকজন কুড়াল, হাসুয়া, লাঠি নিয়ে জেসমিনকে এলোপাথারী মারতে থাকে। এ সময় জেসমিনের মা ও নানী এগিয়ে আসলে তাদেরকেও হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রাতে জেসমিনের স্বামী বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল আলিম বলেন, আমার লাগনো গাছ থেকে তারা পাতা নামালে আমি নিষেধ করি, না শুনার কারনে তাদের মেরেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি শুনে ভুক্তভোগীদের তৎক্ষনাৎ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলি।”