পাঁচবিবি উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত মহীপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজে প্রবেশ মুখের রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। কলেজের প্রধান ফটক থেকে একাডেমি ভবন পর্যন্ত মাত্র দেড়’শ মিঃ রাস্তার ইট পাথর ও পিচ উঠে গিয়ে খালখন্দে পরিনত হয়েছে। এমন ভাঁঙ্গাচুড়া রাস্তা দিয়ে প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত্ব প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারী সহ সকলকেই যাতয়াত করতে হয়। কলেজে অধ্যায়নরত সেকেন্ড ইয়ারের শিক্ষার্থী রোকেয়া বলেন, আমি প্রতিদিন বাসা থেকে ভ্যান যোগে আসা—যাওয়া করি। বাসা থেকে কলেজ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিঃমিঃ রাস্তার পুরোটাই পাকা ভ্যানে চড়ে আরামে আসতে পারলেও প্রতিষ্ঠানের মুখের অল্প ভাঁঙ্গা রাস্তায় আমার ন্যায় সবাইকে কষ্ট পেতে হয়। প্রতিষ্ঠানের অর্নাস বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিউল হোসেনও একই উক্তি করেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক ভ্যান—রিক্সার চালকরা বলেন, “আমরা সারা শহর যাত্রী পরিবহন করি প্রায় সব রাস্তায় পাকা এবং ভালো শুধু কলেজের এইটুকুই ভাঁঙ্গা। যদি রাস্তাটুকু মেরামত করত আমাদের এবং যাত্রীদের জন্য ভালো হত। অধ্যক্ষ আখতার জাহান দুলারী বলেন, “সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানের নীতিগত সমস্যার কারনে রাস্তাটি মেরামত হতে বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি বলেও তিঁনি জানান। ”
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “কলেজে প্রবেশের রাস্তাটুকু জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত হওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ সংস্কার করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন, যদিও ইতিপূর্বে আমরা ওই রাস্তাটির কার্পেটিং করেছি। জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ—সহকারি প্রকৌশলী বায়েজীদ বোস্তামী বলেন, রাস্তাটির প্রকৃত মালিক উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগ, একারনে আমাদের কিছু করার নাই। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ যদি তাদের আওতামুক্ত ছাড়পত্র দেন, সেক্ষেত্রে বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা যেত।