জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার গুণী গীতিকার ও সুরকার স্বপন কুমার দাস আর নেই। আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দানেজপুর- ঢাকাইয়াপট্টি মহল্লার নিজ বাসভবনে পরলোক গমন করেছেন।
জীবদ্দশায় তাঁর দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছিল। সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করা হতো। যা অনেক ব্যয় বহুল চিকিৎসা। তার আর্থিক সাহায্যে সাংবাদিকরা পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাকে বাঁচাতে জয়পুরহাট শিল্পকলা একাডেমীর পক্ষ থেকেও জয়পুরহাটের গুণীজন শিল্পীরা একটি বিশাল কনসার্টের আয়োজন করেছিল। তবুও বাঁচানো গেল না স্বপন কুমার দাসকে।
স্বপন কুমার দাসের সংক্ষিপ্ত জীবনী:-স্কুল জীবন থেকেই গানের সাথে পথচলা স্বপন কুমার দাসের। গান লেখা এবং সুর করার পাশাপাশি গানের শিক্ষকতাও করতেন দারুণ প্রতিভাবান ও মেধাবী এই সংস্কৃতিকর্মী। তার লেখা এবং সুর করা গান গেয়েছেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আরিফুল ইসলাম মিঠু, সাগর, দিলীপ কুমার, সানাম সুমি, দীপ্তি (ক্লোজআপ-১), সবুজ (এটিএন তারকাদের তারকা), উজ্জ্বলসহ অসংখ্য কণ্ঠশিল্পী। এছাড়াও তার কাছে গান শিখেছেন এবং তালিম নিয়েছেন অগণিত সঙ্গীতশিল্পী।
গীতিকার হিসেবে তিনি তালিকাভুক্ত রয়েছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে। প্রায় ৫০ বছরের উপরে গানের শিক্ষকতা করেছেন তিনি। এককথায় নিজের জীবন ও যৌবন গানের জন্যই উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। তবে গান থেকে প্রাপ্তি বলতে কিছুই পাননি তিনি। গান ভালোবেসে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রবাস জীবনের সুযোগসহ অনেক সরকারি চাকুরির প্রস্তাব।
স্বপন কুমার দাসের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায়। পিতা- মৃতঃ বিনোদ বিহারী দাস, মাতাঃ মৃত- সন্ধ্যা রানী দাস, গ্রাম:-দানেজপুর( ঢাকাইয়া পট্টি) । গ্রামের বাড়িতেই পরলোক গমন করেন এই গুণীজন। বর্তমানে তার স্ত্রী প্রীতি রানী দাসও ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। এক পুত্র ও স্ত্রী নিয়ে ছোট পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি।