আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা -১ আসনে সরকার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এক ঝাঁক নতুন মুখ নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রতিনদিন তারা নিজ নিজ এলাকায় দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি গণ সংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশাপাশি তাদের ছবিরসংবলিত বিরাট বিরাট বিলবোর্ড ও ফেস্টুন চোখে পড়ে সবত্র।বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বার্তা জনগণের কাছে লিফলেট আকারে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ প্রতিটি আসনের বিপরীতে দেখা যাচ্ছে প্রার্থী জট।একাধিক আসনে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে,আসতে পারে নতুন মুখ। বর্তমান সংসদের একাধিক সংসদ সদস্য নানা বির্তকের জন্ম নিয়েছেন।ফলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্হা ও দলীয় প্রতিবেদনে সেসব উঠে আসায় বিতর্কিতরা মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। এ সব আসনে ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় প্রার্থীদের খুঁজছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এমনটা শোনা যাচ্ছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
এর জন্য এখন পর্যন্ত খুলনার প্রতিটি আসনেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি এক ঝাঁক নতুন নতুন মুখ।খুলনার আসনগুলো থেকে যারা দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন তারা হলেন খুলনা-১ (দাকোপ ও বটিয়াঘাটা)খুলনা-১ আসনের বর্তমান এমপি ও হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস ফের মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডল,সংরক্ষিত আসনের এমপি গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, সাবেক , বটিয়াঘাটা উপজেলা সভাপতি আশরাফুল আলম খান, ভারত বিচিত্রার সাবেক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নান্টু রায়, সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত রায় মনোনয়ন চাইবেন।তবে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সোহেল দলীয় মনোনয়ন পেলে অবাক হবেন না দলীয় নেতা-কর্মীরা।
এ্যাডঃগ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ,দেশের নানা ক্রান্তিকালে মানবিক দিয়ে তিনি ইতিমধ্যে খুলনা -১আসনের গণ মানুষের মনের মাঝে জয়গা করে নিয়েছেন।বহুমূখী মানবিক ও সেবামূলক কাজে পরিচিতি পেয়েছেন সম্নান সরুপ খুলনা বিভাগীয় খুলনা জেলা ও দাকোপ উপজেলা প্রশাসন পর্যায়ে শেষ্ঠ জয়িতির সম্নাননা প্রাপ্ত হয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দ্বারে দ্বারে ছুটছেন বলে জানিয়েছেন কর্মী বন্ধব এ নেতা।
এ্যাডঃগ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমি কাজ করেযাচ্ছি।এ ছাড়া দাকোপ-বটিয়াঘাটা খুলনা-১ আসনের জনগণের ইচ্ছায়ই আমি রাজনীতি করি।তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন আমাকে এই পযন্ত এনেদিয়েছে।আমি বরাবরই জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করি এবং করতে চাই।আমি আশা করি এই বার নেত্রী আমাকে মূর্ল্যায়ন করবে । আমি আশাবাদী এই বার আমার যোগ্যতা যাচাই করে আমাকে মনোনয়ন দেবে । আমাকে যদি মনোনয়ন দেয় আর আমি যদি সংসদ সদস্য হতে পারি আমি আমার নদীভাঙ্গন এলাকার জন্য কাজ করে যাবো।
ননী গোপাল মণ্ডল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিশেষ অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই অপপ্রচার চালানো শুরু হয়, এখনও চলছে। আগামীতে সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন যাতে না পাই সেই চেষ্টাও করছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। কিন্তু মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে সে অপপ্রচারের জবাব দিতে চাই।’
নান্টু রায় বর্তমান এমপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘পঞ্চানন বিশ্বাস চারবার এমপি হলেও এ আসন সবচেয়ে অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত। জনগণ পরিবর্তন চাইছে। আশা করছি, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’ তবে পঞ্চানন বিশ্বাস বলেন, ‘উন্নয়ন হয়েছে কিনা, মূল্যায়ন করবে জনগণ। নির্বাচনের আগে নান্টু রায়ের এমন অবস্থানে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বর্তমান এমপি ও হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস ফের মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডল, সংরক্ষিত আসনের এমপি গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, বটিয়াঘাটা উপজেলা সভাপতি আশরাফুল আলম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নান্টু রায়, সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত রায় মনোনয়ন চাইবেন।তবে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সোহেল দলীয় মনোনয়ন পেলে অবাক হবেন না দলীয় নেতা-কর্মীরা।
নান্টু রায় বর্তমান এমপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘পঞ্চানন বিশ্বাস চারবার এমপি হলেও এ আসন সবচেয়ে অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত। জনগণ পরিবর্তন চাইছে। আশা করছি, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’ তবে পঞ্চানন বিশ্বাস বলেন, ‘উন্নয়ন হয়েছে কিনা, মূল্যায়ন করবে জনগণ। নির্বাচনের আগে নান্টু রায়ের এমন অবস্থানে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আ’লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। দলটিতে নির্বাচন করার মতো যোগ্য প্রার্থী প্রতিটি আসনে ১০ জনেরও বেশি রয়েছে। এটা প্রমাণ করে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি দলীয় নেতা-কর্মীদের আস্থা সুদৃঢ় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন নেতাকর্মীরা সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।