পড়ালেখাপাঁচবিবিতে গরুর র্ফাম করে” আজ মা-ছেলে “সফল। করে সোনার হরিণ চাকুরীর পিছনে না ছুটে বিদেশী জাতের গরুর র্ফাম করে সফল হয়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ইমামে রাব্বানি রিফাত। এ কাজে অর্থনৈতিক ও সার্বিক সহযোগিতা করেন স্কুল শিক্ষিকা মা রহিমা খাতুন। অবসর সময়ে ছেলের সঙ্গে র্ফামের গরু দেখাশোনা করেন তিনি। শখের বসে রিফাত ২’টি গরু বাসায় লালন-পালন শুরু করে। পশু পৃতি দেখে একমাত্র ছেলেকে চাকুরী না করে গরুর র্ফাম করার পরামর্শ দেন। এরপর মা-ছেলে মিলে বাসার পাশেই র্ফাম গড়ে তোলেন। এরপর র্ফামে দেশী গরুর পরিবর্তে বিদেশী জাতের গরু সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তাদের র্ফামে ফ্লেকভি, ব্রাফোর্ড, ব্রাহমা, গিরি, ভুটিয়া, সাইওয়াল প্রায় ৫০-৬০টি গরু লালন-পালন হচ্ছে। গরুগুলোকে সম্পুর্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে মোটাতাজা করা হয়। র্ফামের গরু হাটে-বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের ঝামেলা এরিয়ে রিফাত তার ফেসবুক আইডি, ইউটিউব ও অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করেন। র্ফাম থেকে তারা লাভবান হচ্ছে সেই সঙ্গে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ডাক্তার নিয়মিত র্ফাম পরিদর্শন চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর শহরের রামতনু গ্রামের রিফাত ঢাকায় কম্পিউটার সপ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখার সময় থেকেই পশু-পাখির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা। শখ থেকেই রিফাত এখন সফল হয়েছে গরুর র্ফাম করে। হাটে বেঁচাকেনার ঝাঁমেলায় না গিয়ে অন-লাইন বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতার ঠিকানায় গরু পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই আবার র্ফামে স্ব-শরীরে এসেও বাসা-বাড়িতে লালন-পালনের জন্য বিদেশী জাতের এসব গরু ক্রয় করছেন। রিফাতের মা রহিমা বলেন, আমার একমাত্র ছেলে তাকে চাকুরী বা ব্যবসার কারনে দূরে কোথাও না রেখে গরুর র্ফাম করে দিয়েছি। অবসর সময়ে আমিও র্ফাম একটু দেখভাল করে। র্ফাম করে ছেলে যেমন সফল হয়েছে তেমনি অনেক যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ছেলে যে সফল উদ্যোগত্তা হয়েছে মা হিসাবে আমি গর্ববোধ করি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নিয়ায কাজমীর রহমান বলেন, রিফাতের র্ফামে বিদেশী জাতের গরু লালন-পালন হয়। আমরা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সর্বদা চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেই।