নীলফামারীসহ উত্তরা অঞ্চলের বেশির ভাগ জায়গায় বর্ষা মৌসুমে ও বৃষ্টি না হওয়ায় দুচিন্তায় পড়েছে
নীলফামারীসহ বিভিন্ন জায়গার আমন ধান চাষীরা।
বর্ষার মৌসুমে বর্ষা না হলেও সেচ পাম্প দিয়েই চলছে আমন ধানের চারার রোপণের কাজ।
এনিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। সেচ পাম্পের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে চলছে ধান রোপনের কাজ।
কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান এবছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হলেও সেচ পাম্প দিয়ে আমরা আমন ধানের চারা রোপণ করতেছি।
তারা আরো বলেন এবছর সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় আমরা যে সেচ পাম্প দিয়ে জমিতে পান দিয়ে আমন ধানের চারা রোপণ করেছি কিন্তু রোপন করা চারায় সময় মতো সেচ দিতে পারছি না কারন ঘনঘন লোডশেডিং এবং তেলের দাম বেশি হওয়ায় আর সে কারনে জমি গুলো ফেটে হয়ে গেছে চৌচির ।
সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নটখানা এলাকার কৃষক আমন ধান চাষী শ্রী রামমোহন রায় বলেন আমি এবছর আমার ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছি কিন্তু রোপন করা চারায় সময় মতো সেচ দিতে পারছি না কারন ঘনঘন লোডশেডিং সে জন্য জমি গুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে ।
একই এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম ও আব্দুর রহমান বলেন আমরা দুজনে এবছর ২০ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি কিন্তু সেচ সময় মতো দিতে পারছি না এনিয়ে বড় দুচিন্তায় আছি। কারন আষাঢ় ও শ্রাবণ এই মাস পুরো বর্ষার মাস কিন্তু এই মাস দুটিতে কোন বৃষ্টি হলো না।
ফসলের মাঠ গুলো ঘুরে দেখা বিদ্যুৎতের ঘনঘন লোডশেডিং এর কারনে সময় মতো সেচ দিতে না পারায় আমন ধানের জমি গুলো ফেটে গেছে ।
এবিষয়ে নীলফামারী জেলা কৃষি কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম বলেন এবছর সঠিক সময় বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর আমন ধান চাষীরা বিপাকে পড়ে গেছে। তবু ও এবার আমরা আমন ধান রোপণের লক্ষ্য মাত্রা ধরেছি ১ লক্ষ ১৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে এবং এখন পযন্ত আমন ধান রোপণ করা হয়েছে ৮৫ হাজার ২০৭ হেক্টর জমিতে এবং এখনো অনেক কৃষক আমন ধান রোপণ করছে তাই আমরা আশা রাখছি যে আমাদের লক্ষ মাত্রা পূরণ হবে ।