আলুর বাজার দর আগের থেকে বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে।১৯ টি হেমাগাহিমাগারের মধ্যে পাঁচবিবি উপজেলাতে হিমাগার দুইটি। আলু বিক্রি হয়েছে ৬০হাজার বস্তা। লাভ ভালো হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
উৎপাদনের মৌসুম শেষে সংরক্ষণ করেন উপজেলা কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা। সাধারণত এসব আলু বিক্রি হয় জুলাই মাসে এবারে চাহিদা বেশি হওয়ায় এবং লাভের আশায় সংরক্ষণের দুই মাস পরে শুরু হয় বিক্রি।
হিমাগারের সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্টোর কিপার জাকারিয়া বলেন এবারে আলুর চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিদিন ৮ থেকে ৯শত বস্তা আলু বাহির হচ্ছে।
আলুর বাজার ভালো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বিভিন্ন বস্তার আলুর দাম ১৬ থেকে ১৭শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন ও সংরক্ষণ খরচ বাদে লাভ থাকছে ৬ থেকে ৮ শত টাকা।
কৃষক মোঃ শুকু মিয়া বলেন, বিগত দুই বছরে তুলনায় এ বছর আলুর দাম ভালো,তাই এ বছর আগাম আলু বিক্রি শুরু করে দিয়েছি।
মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, বিগত বছর আলুর বস্তা ছিল৫শত টাকা এবছর ১৫থেকে ১৬শত টাকা। তবে এ বছর আলুর দাম ভালো থাকায় কিছুটা লাভের মুখ দেখছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে,৯ লাখ ২০হাজার২৩০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। তবে ১৯টি হিমাগারে ১লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃলুৎফুর রহমান বলেন,উপজেলাতে আলুর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ৫৩হাজার৭৭৪মেট্রিক টন।সংরক্ষণ করা হয়েছে আফিয়া হিমাগারে ৮২২০ মেট্রিকটন এবং সাথী হিমাগারে ৯৯৯০ মেট্রিক টন। আলুর মজুদ প্রযার্প্ত,দাম বাড়ানোর কোন যৌক্তিক কারণ নাই,আলুর বাজার নিয়মিত মনিটরিং করতেছি, আলুর দাম নিয়ে কেউ যদি কারসাজি করে মোবাইলকোটের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।