দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুল হতে ১১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮১ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। পাসের হার শতভাগ। ইতোপূর্বেও অত্র বিদ্যালয় ২০১১ ইং সাল হতে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল এবং মেধাবৃত্তি প্রাপ্তিতে শিক্ষাবোর্ডে ও দিনাজপুর জেলায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।
বিদ্যালয়টির ধারাবাহিকভাবে ভাল ফলাফলের মূল কারণ শিক্ষক শিক্ষিকাগণের একাগ্রতা, শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকগণের সহযোগিতা বলে জানান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মোকছেদ আলী চৌধুরী।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক বলেন, আল্লাহ তাআলার খাস রহমাত, দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের নিবিড় তত্ত্বাবধান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্জনে অধ্যাবসায় ও পরিচালনা কমিটির অব্যাহত এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের মধ্যে বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় হতে ১৫৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৩ জন। পাসের শতকরা হার ৮৬.৭১। কাটলা হাইস্কুল হতে ১০২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৩ জন। পাসের শতকরা হার ৮২। উপজেলা কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয় হতে ৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৯ জন। পাসের শতকরা হার ৮৭.৫০। শিবপুর হাইস্কুল হতে ১০২ জন অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ জন। পাসের শতকরা হার ৯১.১৮। হাবিবপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় হতে ৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন। পাসের শতকরা হার ৯৫.৫৯।
অপরদিকে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় মুকুন্দপুর ফাযিল মাদরাসা হতে ৪৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ জন। পাসের শতকরা হার ৯০.০১। বিজুল দারুল হুদা কামিল মাদরাসা হতে ৬১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ জন। পাসের শতকরা হার ৮৬.৮৯।