মেঘনার বুক চিরে
লঞ্চ যায় দুলেদুলে,
দুই পারে কাশবন
সাদা ফুলে ফুলে।
সাদা মেঘ দেয় ছুট
কালো মেঘে ছটফট,
চিকচিক বালি রয়
ভাঙ্গা গড়া তার তট।
ঝাঁক ঝাঁক বালিহাঁস
ডুবে ভাসে বার বার,
ছোট ছোট মাছ খায়
দিন রাতে এই সার।
চকচক ইলিশ মাছ
জাল টেনে নেয় জেলে,
সব মাছ স্বাদ ভরা
দেহ তার তেলতেলে।
চকচক সোনা রোদে
রঙ মাখা হয় জল,
মেঘনায় জল ভরা
খুঁজে নাহি পাই তল।
লঞ্চের ভোঁ ভোঁ’তে
দুটো কানে শোঁ শোঁ,
বাঁশি বাজে পর পর
রব করে পোঁ পোঁ।
নৌ যান ছুটে চলে
কার আগে কে যায়,
এই দেখে ভয় লাগে
তল বুঝি যায় যায়!
বুকে তার ঢেউ খেলে
দেখি তা বার বার,
ঢেউ দেখে প্রাণ যায়
ভয় হয় হারাবার।
ভ্রমণ হলো সফল
মেঘনার রূপ দেখে,
মন হলো একাকার
মেঘনার রঙ মেখে।
রূপ যার নাহি ধরে
রূপসী চাঁদপুর,
বুকে তার প্রেম ভরা
ডাকে মধুুপুর।
সাথে মোর রয় আজ
কালীপদ দাদা,
দুই জনে সাত রঙে
সাদা আর সাদা।