পবিত্র বেদ থেকে
নারীদের সম্পত্তির অধিকার
নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা –
*ঋগ্বেদ ৩য় মণ্ডল,সূক্ত -৩১,মন্ত্র-১,২
বাংলা অনুবাদ-
মন্ত্র-১)-পুত্রহীন পিতা সমর্থ জামাতাকে শাস্ত্রানুশাসনক্রমে দুহিতা জাত পৌত্র প্রাপ্ত হন।অপুত্র পিতা দুহিতার গর্ভ হতে বিশ্বাস করে প্রসন্নমনে শরীর ধারণ করেন(১)
মন্ত্র-২)
ঔরস পুত্র দুহিতাকে পৈতৃক ধন দেন না।তিনি তাকে ভর্তার প্রণয়ের আধার করেন।
*ঋগ্বেদের ১০ম মণ্ডলের ৮৫ সূক্তে বিবাহ সম্পর্কে বিধি বিধান দেওয়া আছে। সময় সল্পতার কারণে আমি অল্প কয়টি মন্ত্র তুলে ধরলাম।
*ঋগ্বেদ১০ম মণ্ডল,সূক্ত ৮৫ মন্ত্র-২৭।
এ স্থানে সন্তান সন্তুতি জন্মে তোমার প্রীতি লাভ হোক।এ গৃহে সাবধান হয়ে গৃহকার্য সম্পাদন কর। স্বামীর সাথে আপন শরীর সম্মিলিত কর বৃদ্ধ অবস্থা পর্যন্ত নিজ গৃহে প্রভুত্ব কর।
মন্ত্র- ৩৬ স্বামীর উক্তি-
তুমি সৌভাগ্যবতী হবে বলে তোমার হস্ত ধারণ করছি।আমাকে পতি পেয়ে তুমি বৃদ্ধ অবস্থা পর্যন্ত উপনীত হও,এ প্রর্থনা করি, ভাগ ও অর্যমা ও অতি বদান্য সবিতা,এ সকল দেবতা আমার সঙ্গে গৃহকার্য করবার জন্য তোমাকে আমার হস্তে সমর্পণ করেছে।
মন্ত্র -৩৮. হে পূষা! নারীর গর্ভে মনুষ্যগণ বীজ বপন করে।তাকে তুমি যার পনাই কল্যাণ সম্পন্না করে পাঠিয়ে দাও।
মন্ত্র- ৪২
বরবধূর প্রতি উক্তি-
হে বরবধূ! তোমরা এস্থানেই উভয়ে থাক। পরস্পর পৃথক হয়োনা। নানা খাদ্য ভোজন কর। আপন গৃহে থেকে
পুত্র পৌত্রদের সাথে আমোদ আহ্লাদ ও ক্রীড়া বিহার কর।।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিধি দেওয়া আছে।সময় সল্পতার কারণে ব্যাখ্যাদি দিতে পারিনি বলে দুঃখিত।
আলোচনা-
পবিত্র ঋগ্বেদের আলোচনা থেকে বুঝা যায়।নারী পিতার সম্পত্তির ভাগ পায় না।কারন যখন বিয়ে দেওয়া হয়, তখন তাকে সালংকারে সৎপাত্রের হস্তে সারা জনমের দান করে থাকেন এবং পিতা সেটা নিজেই সম্প্রদান কার্য সম্পন্ন করেন। স্ত্রীর কাছে স্বামীর বাড়িই আপন বাড়ি। সেখানে স্ত্রী স্বামীর পূর্ণ অধিকার পেয়ে থাকেন এবং স্বামীর সাথে সকল ধর্ম কর্ম সম্পাদন করার অধিকার পেয়ে থাকেন। যার জন্য সনাতন ধর্মে নারীকে সহধর্মিণী বলে থাকেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হইল।
পবিত্র চক্রবর্তী
প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ
চাঁদপুর জেলা শাখা