জাল ভিসা ও মানব পাচারকারী জামাই- শাশুড়ী চক্রের বিরুদ্ধে ভিকটিমের করা সাংবাদিক সম্মেলনের নিউজ করায় যুগান্তরের পূবাইল ও পূর্বাচল প্রতিনিধি ও পূবাইল প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে শাশুড়ী রহিমা খাতুন রুপা(৪৮)। অভিযোগের সাক্ষী ৪ জনের এক জন ও জানেনা তারা ওই অভিযোগের সাক্ষী। সাক্ষী ৪১ নং ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকার আল আমিন সরকার ও মাহফিজ, সাপমারা এলাকার শচীন্দ্র দাস ও নয়ানী পাড়া এলাকার ঘরজামাই রামু দাস জানান আমরা এই অভিযোগ ও ঘটনা সম্বন্ধে কিছুই জানিনা।আমাদেরকে না জানিয়ে সাক্ষী করা হয়েছে।আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
জানা যায় ওমানের নকল ভিসা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রিন্ট করে জামাতা জামাল ও শাশুড়ী রুপা
ওমান পাঠানোর কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে ওই ভিসার অনলাইনে কোন রেকর্ড নেই। রুপা পূবাইল থানা মহিলা যুবলীগের ভূয়া প্রচার সম্পাদক, মানবাধিকার কর্মীও পুলিশের সোর্স হিসাবে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচয় দিয়ে পূবাইল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ১০-১৫ জনের থেকে প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। নিজের স্বামী জীবিত থাকলেও পরিচয় দেয় স্বামী মৃত। স্থানীয় থানায় মামলা না নেয়ায় ভুক্তভোগী কেউ কেউ গাজীপুর আদালতে মামলা করেছেন।যার তদন্তভার আদালত মহানগর গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়েছেন।
প্রতারক চক্রের হোতা রহিমা খাতুন রুপা গাজীপুর মহানগরীর গাছা খাইলকুরের পশ্চিম পাড়া এলাকার আজাবরের স্ত্রী ও জামাতা জামাল কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার কালেমসার গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। ওমান প্রবাসী ওই জামাতা জামাল প্রতারণার টাকায় কেনায় জমি নগরের ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ মৌজায় ১৩ লাখ টাকায় বিক্রি করতে এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। ভুক্তভোগীরা জানান যে কোন সময় জামাই শাশুড়ী ওমানে পালিয়ে যেতে পারেন।তাই প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জামাই শাশুড়ী চক্রটির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা ইতোমধ্যে থানায় অভিযোগও করেন। সালিসি করেন পূবাইল থানায় ডেকে নিয়ে থানার এস আই সাইফুল ইসলাম।ভুক্তভোগী অটো চালক কবির হোসেনকে দেয়া নকল ভিসা বাবদ ২ লাখ ত্রিশ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা কর্তন করে বাকি ১ লাখ টাকা বাকিতে ১৫ দিন পর দিন পর দিবে বলে একটি আপোষ নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন এস আই সাইফুল। যদিও টাকা লেনদেনের বিচার সালিস থানায় মিমাংসা করার কোন আইনগত বৈধতা নেই।পরে ভুক্তভোগী কবির হোসেন গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ওই মানবপাচারকারী চক্রের হোতা জামাই শাশুড়ী জামাল ও রহিমা খাতুন রুপার বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল। ওই নিউজ যুগান্তরসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হলে রুপা ক্ষিপ্ত হয়ে ১২ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তরের পূবাইল ও পূর্বাচল প্রতিনিধি মোহাম্মদ আখতার হোসেনকে আসামি করে ফোনে ১ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে ও বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করেছে বলে গাজীপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে ওই মানবপাচারকারী চক্রের হোতা। সত্য ঘটনা উদঘাটন করে জামাই শাশুড়ীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জামাতা ও শাশুড়ী যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেই ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন পূবাইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা।
বৃহস্পতিবার পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এবিষয়ে আমি সবই জানি।আমার স্যারদের সাথে পরামর্শ করে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।