মোঃ মুশফিক হাওলাদার ভোলা প্রতিনিধ
ভোলার কৃতি সন্তান গোল্ড মেডেলিস্ট মুহা. আবুল ফুতুহ এর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ
‘ওয়াও’ অক্ষরের উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি পেলেন বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার কৃতি সন্তান মুহা. আবুল ফুতুহ।
‘আল-কুরআনে ‘ওয়াও’: একটি বৈকারণিক ও পরিসংখ্যানমূলক পর্যালোচনা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক ড. মুহা. আবুল ফুতুহ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১/০১/২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ২৫৯ নং সভায় এবং ২৬/০২/২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তার পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন দেয়া হয়। এ গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট ড. আবু সালেহ মুহা. তোহা।
ড. মুহা. আবুল ফুতুহ ১৯৯৪ সালের ১৫ই ডিসেম্বর ভোলা জেলা অন্তর্গত লালমোহন থানার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা এ.কে.এম. রফিকুল ইসলাম। মাতা মোসা: হাসিনা বিনতে আহমদ। ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসা থেকে ২০০৯ সালে দাখিল ও ২০১১ সালে আলিম পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ন হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১২-২০১৩সেশনে অনার্সে আরবী বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে অনার্স পরীক্ষায় রেকর্ড পরিমাণ সিজিপিএ অর্জন করে কলা অনুষদে প্রথম স্থান লাভ করেন। সেই সাথে ২০১৭ সালে থিসিস গ্রুপ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষায়ও রেকর্ড পরিমাণ সিজিপিএ অর্জন করে কলা অনুষদে প্রথম স্থান লাভ করেন। অনার্স পরীক্ষায় কলা অনুষদে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৭ এ ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি কলা অনুষদ ডীনস অ্যাওয়ার্ড, ২টি বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক অগ্রণী ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাওয়ার্ড, ফেলোশীপ অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন।
২০১৯ সন থেকে তিনি দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসায় কর্মরত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি গবেষণা প্রবন্ধ রচনা ও গ্রন্থ প্রণয়ন করে চলেছে। ইতোমধ্যে তার ২টি গবেষণা প্রবন্ধ ও ৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সকলের কাছে দু‘আ প্রার্থী।