বগুড়ায় বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৫ আরোহী নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরতলীর দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের সুজাবাদ দহপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- অটোরিকশার চালক জেলার গাবতলী উপজেলার কদমতলী এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী এবং ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানাধীন কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোর্শেদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মোহাম্মদ আলী জানান, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা স্বদেশ ট্রাভেলস্ নামে একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। আর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি বগুড়া শহর থেকে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ির দিকে যাচ্ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি সুজাবাদ দগপাড়া মোড়ের কাছে পৌঁছালে অটোরিকশাটি হঠাৎ ডান দিক থেকে বাম দিকে যেতে শুরু করলে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জানান, খবর পেয়ে তারা ১১টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে এসে ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পান। এক নারীসহ ৩ জনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
তিনি বলেন, পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি অটোরিকশার চালক হযরত আলীর লাশ তার স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে গোলাম রব্বানী নামে অপর একজনের পরিচয় তার ছেলে ফয়সাল নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহত অপর এক নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহত ১০ বছরের এক কন্যা শিশুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শজিমেক হাসপাতাল ফাঁড়ির কনস্টেবল জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আহত ১০ বছর বয়সি মেয়েটিকে হাসপাতালে আনার পর পরই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ধারণা শিশুটি নিহত নারীর সন্তান হতে পারে।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসে কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সেটা জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘কে বা কারা আগুন দিয়েছে সে সম্পর্কে স্থানীয়রা মুখ খুলছেন না।’
বগুড়া শজিমেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহতদের মধ্যে দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত ১০ বছর বয়সি শিশু ছাড়া অন্যদের লাশ মর্গে আসেনি।